দেশে করোনা টীকাকরণের প্রস্তুতি শুরু, এসএমএস পাঠিয়ে তথ্য জানাবে সরকার
টীকাকরণের ক্ষেত্রে সময় ও জায়গা এসএমএস-এর মাধ্যমে জানানো হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- আর বেশি দেরি নেই। দেশবাসীকে করোনার টীকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হল বলে! টীকাকরণের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিশ্বের বহু দেশের বিজ্ঞানীরা এখন করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। রাশিয়া ছাড়াও আমরিকা, চিন, ব্রিটেন ও ভারত ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। শুক্রবারই জানা গিয়েছিল, ভারতের Covaxin ফেব্রুয়ারিতে বাজারে আসতে পারে। অর্থাত্ এখনও ভ্যাকসিন আসতে বেশ কিছুদিন দেরি আছে। তবে তারই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে টীকাকরণের প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে।
দেশের বেশিরভাগ জনগণের মধ্যে টীকাকরণের জন্য যে আগে থেকেই প্রস্তুতি দরকার সেটা আন্দাজ করতে পেরেছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ফেব্রুয়ারিতে টীকাকরণ শুরু হলে সবার আগে স্বাস্থকর্মীরা পাবেন, এমনটা স্বাস্থ্যমন্ত্রক আগেই জানিয়েছিল। তবে মার্চ-এপ্রিল থেকে সাধারণ জনগণের মধ্যে করোনার টীকাকরণ শুরু হতে পারে। আর সব তথ্যই সরকার এসএমএস-এর মাধ্যমে জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অধিকর্তারা এই নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। স্বাস্থ্য কেন্দ্র ছাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, স্কুল, পঞ্চায়েত ভবনের মতো জায়গাগুলিতে টীকাকরণ হতে পারে।
আরও পড়ুন- ফেব্রুয়ারিতে ভারতের বাজারে করোনার টীকা! ICMR-এর বিজ্ঞানীর কথায় আশার আলো
টীকাকরণের ক্ষেত্রে সময় ও জায়গা এসএমএস-এর মাধ্যমে জানানো হবে। একটি কিউআর কোড-আর মাধ্যমে সব তথ্য সরকারের কাছে জমা থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। যাতে টীকাকরণের পর কোনও সমস্যা বা ভাল দিক জানতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরকার যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে! এছাড়া এক ব্যক্তির যাতে ভুবশত দুবার টীকাকরণ না হয় সেদিকেও নজর রাখা হবে। টীকাকরণের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক করা হতে পারে। তবে আধার কার্ড ছাড়া অন্য কোনও পরিচয়পত্র দেখিয়েও জনসাধারণ টীকা নিতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি বেসরকারি সংস্থার থেকে টীকা কিনবে। তার পর সেই টীকা রাজ্য সরকারগুলিকে বন্টন করা হবে।