হার্টের ‘ধুকপুকুনি’ ঠিক রাখতে এই নিয়মগুলো অবশ্যই মানুন
২০১৬ সালে ভারতে যত মৃত্যু হয়েছে, তার ২৮.১ শতাংশ মৃত্যু হার্টের রোগ এবং স্ট্রোকে। ১৯৯০ সালে গোটা দেশে হার্টের রোগীর সংখ্যা ছিল ২.৫৭ কোটি। সেখানে ২০১৬ সালে সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ৫.৪৫ কোটি
নিজস্ব প্রতিবেদন: সকাল থেকে রাত খেটেই চলেছেন। সপ্তাহভর একই রুটিন। ভাবছেন আপনি ফিট। কিন্তু আপনার হার্ট ঠিক আছে তো?
হঠাত্ যদি বন্ধ হয়ে যায় বুকের ওই ধুকপুকুনি? সব শেষ। আধুনিক জীবনের ঘেরাটোপ যত বাড়ছে, তত স্ট্রোক কিংবা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ছে। আধুনিক লাইফস্টাইল এবং অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস একটু একটু করে বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে শরীরের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, ১৯৯০ থেকে ২০১৬-র সময়কালে ভারতে হার্টের রোগ এবং স্ট্রোক বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
২০১৬ সালে ভারতে যত মৃত্যু হয়েছে, তার ২৮.১ শতাংশ মৃত্যু হার্টের রোগ এবং স্ট্রোকে। ১৯৯০ সালে গোটা দেশে হার্টের রোগীর সংখ্যা ছিল ২.৫৭ কোটি। সেখানে ২০১৬ সালে সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ৫.৪৫ কোটি। হার্টের রোগে সবচেয়ে এগিয়ে কেরল, পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গ।
আরও পড়ুন- ফ্যাটি লিভার ধরা পড়েছে? রেহাই পেতে কাজে লাগান এই ২টি অব্যর্থ ঘরোয়া প্রতিকার
ক্রমেই বাড়ছে জাঙ্কফুড খাওয়ার প্রবণতা। ধূমপানের প্রবণতাও বাড়ছে। দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে কাজ। শরীরচর্চার বালাই নেই। হাঁটাহাঁটি তো দূরঅস্ত্। মেদ জমছে শরীরে। ব্লাড প্রেসার এবং সুগার বেড়ে চলেছে। কোলেস্টেরলও চলে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শর্করা, চর্বিজাত ও তৈলাক্ত খাবার কম খেতে হবে। বর্জন করতে হবে ধূমপান। ওজন রাখতে হবে নিয়ন্ত্রণে। বেশি পরিমাণে খেতে হবে ফল ও সবজি।