বৃথা গেল নারিনের হ্যাটট্রিক, পঞ্চনদে ডুবল নাইটদের নৌকা
একটু পরেই আইপিএলে বলিউডের দুই সুপারস্টারের দলের মুখোমুখি লড়াই। পঞ্জাবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচে ছায়া লড়াই বীর আর জারার মানে শাহরুখ খান- প্রীতি জিন্টার।
কিংস পঞ্জাব- ১৫৭/৯ (গোনি ৪২, মনদীপ ৪১)। নাইট রাইডার্স- ১৫৩/৯ ( গম্ভীর ৬০)
কিংস পঞ্জাব জয়ী ৪ রানে। ম্যাচের সেরা- মনপ্রীত সিং গোনি
পঞ্চনদের দেশে নৌকাডুবি নাইট রাইডার্সের। বিপক্ষকে একটা সময় হাতের মুঠোতেও পেয়েও গৌতম গম্ভীরের দলকে হারতে হল। প্রীতির দলকে হাতের মুঠোয় পাওয়া গেছিল ইনিংসের প্রথম ১৫ ওভারে আর রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ১৩ ওভারে। আসল কথা হল ম্যাচের বেশি সময় প্রভাব রেখেও হারতে হল ভেদশক্তির অভাবে। সুনীল নারিনের হ্যাটট্রিকের সুবাদে নাইটরা প্রীতির দলের প্রায় ঘাড় চিপে ধরেছিল।
রান তাড়া করতে নেমে গম্ভীরের আউটের পরই নাইটরা অন্ধকারে চলে গেল। ১৫৭ রান তাড়া করতে নেমে নাইটরা ১৩ ওভারে করেছিল ১০৬ রান। শেষ সাত ওভারে গম্ভীরদের দরকার ছিল ৫১ রান। আজকের টি টোয়েন্টির যুগে রানটা দশবারের মধ্যে অন্তত ছ বার উঠে যায়। তার ওপর আবার তখন ক্রিজে ইয়ন মরগ্যান। কিন্তু মরগ্যানও এদিন ফিনিশার হতে পারলেন না। আর মরগ্যান ছাড়া এ দলকে শেষে জেতানোর মত আর ব্যাটসম্যান কোথায়! ইউসুফ পাঠান নিজেই হয়ত ভুলে গেছেন শেষবার কবে দলকে জিতিয়েছেন। মনোজের দিনও ঠিক ভালও যাচ্ছে না। ভাটিয়া অবশ্য ৬ বলে ১৬ রানের ইনিংসটা খেলে একটা অসাধ্যসাধনের চেষ্টা করেছিলেন।
বীর-জারা দ্বৈরথে বাজিমাত করলেন এক অবহেলিত অলরাউন্ডার। তাঁর নাম মনপ্রীত সিং গোনি। শেষ চার ওভারে ৪৮ রান যোগ করে জয় পরাজয়ে ব্যবধান গড়ে দেন গোনি (১৮ বলে ৪২ রান)। শেষ পর্যন্ত সেটাই কাল হল। প্রথম ১৫ ওভারে কিংসদের রান ছিল মাত্র ৯৯ রান।
আজকের হার বোঝাল গতবারটা সত্যি অতীত। এবার নাইটের বেশিটাই আঁধার। আলো বলতে নারিন, গম্ভীর, আর মরগ্যান। আর অন্ধকার নাইটদের বাকি জগত্টা।