জাতীয় সঙ্গীতকে যোগ্য মর্যাদা দিয়ে ব্যতিক্রমীই হয়ে থাকলেন এই পুলিস কর্মী

Updated By: Jul 21, 2015, 08:37 PM IST
 জাতীয় সঙ্গীতকে যোগ্য মর্যাদা দিয়ে ব্যতিক্রমীই হয়ে থাকলেন এই পুলিস কর্মী

সৌরভ পাল 

একুশের মঞ্চে নিজের বক্তব্য শেষ করার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল, 'এবার সবাই মিলে জন গণ মন গাইব'। সেইমত উঠে দাঁড়ালেন মঞ্চে উপস্থিত সব নেতা মন্ত্রী। শুরু হল জাতীয় সঙ্গীত। আর তাতেই তাল কাটল পুলিসের। যে শিক্ষায় রাজ ধর্ম পালনের মন্ত্রে শিক্ষিত হয় এক একজন পুলিস, তাঁরাই কিনা এবার জাতীয় সঙ্গীতরে সময় হাত পা ছেড়ে গা ছাড়া মনোভাবে। 

ব্যতিক্রমও ছিল। বলা চলে নিয়ম পালন করলেন মাত্র একজন। উচ্চ পদস্থ সকল পুলিস আধিকারিক জাতীয় সঙ্গীতের সময় দাঁড়িয়ে রইলেন ঠিকই, কিন্তু ভুলে গেলেন সম্মান জানাতে। নিজের কর্তব্য থেকেও একপ্রকার বিচ্যুত হলেন। কেউ নিজের টুপি ঠিক করলেন, কেউ প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে, কেউ আবার গল্পে মুশগুল। এ ছবি চিরাচরিত নয়। কিন্তু এই বিরল ছবিও দেখা গেল। একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে মোতায়েন অসংখ্য পুলিসের মধ্যে একজনকেই দেখা গেল নিয়ম পালন করতে। জন গণ মন শুরু হতেই, একেবারে স্ট্রেট, হাত উঠল কপালে। কোনও দিকে তাকানো নয়।


 
যতক্ষণ পর্যন্ত গানের আওয়াজ শোনা গেল নিজের দায়িত্বে অবিচল রইলেন তিনি। এখন প্রশ্ন সাদা পোশাকে কলকাতা পুলিসের ওই কর্মী যদি এই সম্মান জানাতে ভুললেন না, তাহলে সেখানে উপস্থিত আর বাকিরা এই সাধারণ কর্তব্য থেকে কি করে বিমুখ হয়ে পড়লেন? উপস্থিত আইপিএস থেকে সাধারণ কনস্টেবল, কোথায় গেল তাদের নৈতিকতা। রাজধর্ম মানে কি শুধুই নেতা মন্ত্রীদের গাড়ি-ঘোরার ম্যানেজমেন্ট? উঠছে প্রশ্ন। 

.