রিপোর্ট প্রকাশের আগে অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে চায় ২১ জুলাই কমিশন
রাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে শুরু করে পুলিস কর্তা। সকলের সাক্ষ্যই প্রায় শেষ করেছে একুশে জুলাই কমিশন। এবছরের শেষেই সেই রিপোর্ট প্রকাশ করতে চলেছে কমিশন। দোষী সাব্যস্ত করার আগে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য তাদের আরও একবার ডাকার পরিকল্পনা করছে কমিশন।
১৯৯৩ সালে ২১ জুলাই সচিত্র পরিচয়পত্রের দাবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সমাবেশের আয়োজন করেন। সেখানেই পুলিসের গুলিতে মারা যান তেরো জন যুব কংগ্রেস কর্মী। সেই ঘটনার তদন্তের দাবিতেই তৈরি হয় একুশে জুলাই কমিশন। তদন্তের প্রয়োজনে সেখানে ইতিমধ্যেই সাক্ষ্যগ্রহন করা হয়েছে একাধিক তাবর তাবর নেতা মন্ত্রীর। হাইকোর্টের নির্দেশ শেষ পর্যন্ত তিন আইপিএস কর্তারও সাক্ষ্য গ্রহন শেষ হয়েছে। সূত্রের খবর সাক্ষ্যের পর আট আইপিএস কর্তার ভূমিকা খতিয়ে দেখছে কমিশন। কারা এই পুলিস কর্তা।
সে সময়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দিনেশ বাজপেয়ি, যুগ্ম কমিশনার আর কে জোহুরি, ডিসি সাউথ এন কে সিং,ডেপুটি কমিশনার দেবনাথ বিশ্বাস,অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আশুতোষ পাল, দুই আইপিএস কর্তা গৌতম মোহন চক্রবর্তী ও সার্জেন্ট ডি কে ঘোষাল। ঘটনার পর রিপোর্টে শিলমোহর বসানোর আগে অবশ্য শেষবার তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে চায় কমিশন। সাক্ষ্যে পারস্পরিক অসঙ্গতি দূর করতে এবং কমিশন অফ এনকোয়ারি এক্ট ১৯৫২ অনুযায়ী, এই ৮ পুলিশ কর্তাকে আবার বক্তব্য রাখতে দেবে কমিশন।
দীপাবলীর পর ফের ডাকা হবে এই ৮ জনকে।