Haridevpur Murder: সম্পর্কের টানাপোড়েনেই খুন? হরিদেবপুরকাণ্ডে মৃতের বান্ধবী-সহ গ্রেফতার ৩
দশমীর দিনে বান্ধবীর দেখা করতে তার বাড়িতে গিয়েছিলেন হরিদেবপুরের কেওড়াপুকুর এলাকার বাসিন্দা অয়ন মণ্ডল। আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। এদিন সকালে মগরাহাটে উদ্ধার হয় ওই যুবকের দেহ।
বিক্রম দাস: সম্পর্কের টানাপোড়েনেই খুন? যুবকের মৃত্যুতে উত্তপ্ত হরিদেবপুর। অবশেষে মৃতের বান্ধবীকে গ্রেফতার করল পুলিস। রেহাই পেলেন না মা ও ভাইও। শুধু তাই নয়, ম্যারাথন জেরায় কার্যত অপরাধ স্বীকার করেছেন ধৃতেরা। সূত্রের খবর তেমনই।
ঘটনার সূত্রপাত দশমীর দিন, বুধবার। সেদিন বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়িতে গিয়েছিলেন হরিদেবপুরের কেওড়াপুকুর এলাকার বাসিন্দা অয়ন মণ্ডল। কোথায় গেলেন? গতকাল, বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের গুরপুকুর পুলিস ক্যাম্পের মাঠে একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। মৃতের পরিচয় জানা যায়নি তখনও। দেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়ে দেয় পুলিস। হরিদেবপুরে নিখোঁজ অয়ন মণ্ডলের নামে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন পরিবারের লোকেরা। এদিন সকালে ঘটনাটি জানাজানি হতেই খবর আসে হরিদেবপুর থানায়। এরপর মগরাহাটে গিয়ে ছেলের মৃতদেহ শনাক্ত করেন অয়নের পরিবারের।
পরিবারের লোকের দাবি, পুলিস যদি সঠিক সময়ে পদক্ষেপ করত, তাহলে ছেলেকে এভাবে মরতে হত না! দেহ উদ্ধারের পর পরিস্থিতি রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। অয়নের বান্ধবীর বাড়িতে ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। দেহ উদ্ধারের পর পরিস্থিতি রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। অয়নের বান্ধবীর বাড়িতে ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। কীভাবে মৃত্য়ু হল অয়নের? দেহইবা কীভাবে পৌঁছল মগরাহাটে? মৃতের বান্ধবী প্রীতি জানা, মা রুমা জানা ও ভাই বিবেক জানাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। অবশেষে গ্রেফতার করল ৩ জনকেই। কেন? পুলিস সূত্রে খবর, প্রীতির সঙ্গে অয়নের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বান্ধবীর বাড়িতে যাতায়াতও ছিল তাঁর। কিন্তু এই সম্পর্কে সায় ছিল না প্রীতির বাবার। তদন্তকারীদের অনুমান, সম্পর্কে জটিলতার কারণেই এই খুন।
আরও পড়ুন: Puja Carnival: চাকরিপ্রার্থীদের সরিয়ে রেড রোডে কার্নিভাল!
ঠিক কী ঘটেছিল দশমীর দিন? বন্ধুদের দাবি, অয়ন যখন দেখা করতে গিয়েছিলেন, বাড়িতে তখন একাই ছিলেন প্রীতি। এরপর হঠাৎ তাঁর বাবা-মা চলে আসেন। ভয়ে ছাদে চলে যান অয়ন। তারপর? ঘড়িতে তখন সাড়ে তিনটে। রাতে এক বন্ধুকে ফোন করেন তিনি। জানান, তাঁকে বেধড়ক মারধর করছেন বান্ধবীর বাবা-মা! কিন্তু বান্ধবীর বাড়িতে ওই যুবককে দেখতে পাননি তাঁর বন্ধুরা। এর আগে, ২২ অগস্ট আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় বাগুইআটির জগৎপুর খাল পাড়ের বাসিন্দা দুই ছাত্র। নাম, অতনু দে ও অভিষেক নস্কর। এরপর একজনের দেহ পাওয়া যায় ন্যাজাটে, আর একজনের মিনাখাঁয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়। মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরি বাড়িতে ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা।