পথ দুর্ঘটনার বলি একই পরিবারের ৩ জন
দিঘা থেকে কলকাতায় ফেরার সময় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল একই পরিবারের ৩ জনের। রবিবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের হেঁড়িয়া ফাঁড়ির বিরিঞ্চি ব্রিজে দু্ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতেরা কলকাতার বরাহনগর থানা এলাকার সিঁথির বাসিন্দা।
দিঘা থেকে কলকাতায় ফেরার সময় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল একই পরিবারের ৩ জনের। রবিবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের হেঁড়িয়া ফাঁড়ির বিরিঞ্চি ব্রিজে দু্ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতেরা কলকাতার বরাহনগর থানা এলাকার সিঁথির বাসিন্দা। একটি ট্রাকের সঙ্গে গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয় তিনজনের। আরও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পয়লা বৈশাখের দিন শ্বশুর বিমলেন্দু দাশগুপ্ত, শ্বাশুড়ি রেনুকা দাশগুপ্ত, স্ত্রী ডোনা ও আড়াই বছরের ছেলে রায়ানকে সঙ্গে নিয়ে দিঘা বেড়াতে যান বরানগরের সিঁথির বাসিন্দা সৌমাল্য চক্রবর্তী। রবিবারই কলকাতায় ফেরার কথা ছিল। কিন্তু দুপুরে মেদিনীপুরের হেঁড়িয়া ফাঁড়ির কাছে বিরিঞ্চি ব্রিজের কাছে একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় গাড়িটির। সংঘর্ষে সৌমাল্য চক্রবর্তী এবং বিমলেন্দু ও রেণুকা দাশগুপ্ত মারা যান। আহত ডোনা চক্রবর্তী ও রায়ান চক্রবর্তীকে হেঁড়িয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হলেও পরে কলকাতায় পাঠানো হয়।
সিঁথির গোপালচন্দ্র বোস লেনের একটি আবাসনে ৬ বছর ধরে স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে থাকতেন বেসরকারি সংস্থার কর্মী সৌমাল্য। স্ত্রী ডোনা একটি নরম পানীয় সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। মাত্র তিনমাস আগে গাড়ি কিনেছিলেন সৌমাল্য। কাঁচা হাতেই চালকের আসনে বসেছিলেন সৌমাল্য। এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। সৌমাল্যর পৈতৃক বাড়ি বাগবাজারে। রবিবার দুপুরে পুলিসের কাছেই দুঃসংবাদ পান সৌমাল্যর বাবা, মা। সিঁথিতে সৌমাল্যদের আবাসনের কাছেই একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন শ্বশুর বিমলেন্দু দাশগুপ্ত ও শ্বাশুড়ি রেণুকা দাশগুপ্ত।