Vidyasagar State General Hospital: রোগী মৃত্যুতে রণক্ষেত্র বিদ্যাসাগর হাসপাতাল! ফের অন ডিউটি নার্সদের উপর অত্যাচার...

Vidyasagar State General Hospital: রোগী মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্য ও পাড়া প্রতিবেশীরা তারা তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। হাসপাতালে ঢোকার মুখের গেটের কাচ ভাঙচুর করা হয়। চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করা হয়, ডিউটিতে কর্মরত তিন নার্সকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। 

Updated By: Nov 23, 2024, 08:42 AM IST
Vidyasagar State General Hospital: রোগী মৃত্যুতে রণক্ষেত্র বিদ্যাসাগর হাসপাতাল! ফের অন ডিউটি নার্সদের উপর অত্যাচার...

প্রসেনজিত্‍ সর্দার: রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে তাণ্ডব দু'ঘণ্টা ধরে। ভাঙচুর চালানো হয় হাসপাতালে গেটের কাচ থেকে শুরু করে চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করা হয়েছে। এমনকি স্টোর রুমে ওষুধও মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, তিন নার্সকে মারধর করার অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেফতার ২২জন।

ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা যায় ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা, মেহেবুব আলম ২৮ বছর বুকে ব্যথা নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যে নাগাদ ভর্তি হয়েছিল বেহালার বিদ্যাসাগর জেনারেল হাসপাতালে। চিকিৎসা চলাকালীন কয়েক ঘন্টা পর চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। আর এর পরেই পরিবারের সদস্য ও পাড়া প্রতিবেশীরা তারা তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। হাসপাতালে ঢোকার মুখের গেটের কাচ ভাঙচুর করা হয়। চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করা হয়, ডিউটিতে কর্মরত তিন নার্সকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্টোর রুমের ওষুধ ইনজেকশন মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । 

আরও পড়ুন:Viral Video: 'হিন্দি বলতে জানেন না কেন'? খাস কলকাতায় মেট্রোয় বাঙালি মহিলাকে হুমকি!

প্রায় দু'ঘন্টা ধরে এই তাণ্ডব চালানো হয়। হাসপাতালে নিরাপত্তা রক্ষীরা থাকলেও এই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি চলতে থাকে। এরপর অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে মৃত দেহকে ফেলে পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায় বলে জানা যায়। ঘটনাস্থলে আসে পণ্যশ্রী থানার বিশাল পুলিস বাহিনী। রাতেই ঘটনা স্থলে আসে জয়েন সিপি। ইতিমধ্যেই ঘটনায় ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার মধ্যে কয়েক জন মহিলা আছে বলে জানা যায় পুলিস সূত্রে। হাসপাতালে কর্মরত যারা থাকে তারা ভয় বা আতঙ্কের মধ্যে পড়ে যায়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতালে। আরজিকরের ঘটনার রেস এখনও কাটেনি। তারপর ও আরও একবার প্রশ্ন তুলে দিল বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে।

জানা গিয়েছে, শেখ মেহমুদ আলম (৩০) ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা রাত ৮ টা ২০ নাগাদ হাসপাতালে আসেন। ইসিজি করিয়ে পেইন কিলার দেওয়া হয়। সিপিআর করা হয়। হাসপাতালে এসে তার আরেকটি অ্যাটাক হয়। ৮ টা ৪০ নাগাদ আরেকটি সিপিয়ার দেওয়া হয়। লাভ হয়নি। ৮ টা ৫০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। সাড়ে ১০ টা থেকে হাসপাতাল চত্বরে কয়েক শো মানুষের জমায়েত হয়। এরমধ্যে দেহ রিলিজ হয়ে যাওয়ায় সেটি বাড়ির লোকের কাছে হ্যান্ড ওভার দিয়ে দেওয়া হয়। সেটি অ্যাম্বুল্যানসে তোলা হয়। রোগীর পরিজনরা চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে সমস্ত চিকিৎসার ডকুমেন্ট চাইতে শুরু করে। হাসপাতাল জানায় কোর্ট অর্ডার ছাড়া এইভাবে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি কাউকে দেওয়া সম্ভব নয়। এরমধ্যেই প্রায় দেড়শো লোক ইমারজেন্সি অবজার্ভেশন ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকে পড়ে। সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। নার্সিং কর্মীদের গায়ে হাত তোলা হয়। বাইরের গেটেও ভাঙচুর চলে। এই হাসপাতালে আলাদা করে কোনও কার্ডিওলজি বিভাগ নেই।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.