পিয়ালির অ্যাকাউন্টে ২ বছরেই জমা সুদ ৩৬ লক্ষ!
সারদা কর্তার স্ত্রী পিয়ালি সেনের অ্যাকাউন্ট থেকে চ্যাঞ্চল্যকর তথ্য পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বিধাননগররে একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের পিয়ালির অ্যাকাউন্টে দু বছরে শুধু সুদ হিসাবেই জমা পড়েছিল ৩৬ লক্ষ টাকা। সেই সূত্র ধরে সারদার বিপুল অর্থের একাংশের খোঁজ পেল ইডি। পাওয়া গেছে দুই ব্যক্তির নাম। যাদের সঙ্গে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে সন্দেহজনক লেনদেন হত।
সারদা কর্তার স্ত্রী পিয়ালি সেনের অ্যাকাউন্ট থেকে চ্যাঞ্চল্যকর তথ্য পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বিধাননগররে একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের পিয়ালির অ্যাকাউন্টে দু বছরে শুধু সুদ হিসাবেই জমা পড়েছিল ৩৬ লক্ষ টাকা। সেই সূত্র ধরে সারদার বিপুল অর্থের একাংশের খোঁজ পেল ইডি। পাওয়া গেছে দুই ব্যক্তির নাম। যাদের সঙ্গে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে সন্দেহজনক লেনদেন হত।
মোট ১৭টি অ্যাকাউন্ট থেকে ২০১১ থেকে ২০১৩ অর্থবর্ষে ৩৬ লক্ষ টাকারও বেশি জমা পড়েছিল পিয়ালি সেনের অ্যাকাউন্টে। এই পুরো টাকাটাই জমা পড়ে পিয়ালি সেনের অন্যান্য অ্যাকাউন্টে লগ্নি করে রাখা বিপুল অর্থের সুদ হিসেবে।
২০০৭ সালে বিধাননগরের এই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলেন পিয়ালি সেন।
এই ব্যাঙ্কেই সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে তাঁর একটি লকারও রয়েছে।
২০১১-১২ অর্থবর্ষে অন্যান্য ব্যাঙ্কে থাকা আরও ৬টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন পিয়ালি।
জমা পড়ে ৩০ লক্ষ টাকারও বেশি।
হঠাত্ কেন এতগুলি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলেন পিয়ালি? ইডির তদন্তকারীদের এই প্রশ্নের সদুত্তোর দিতে পারেননি সুদীপ্ত সেনের স্ত্রী। লেনদেন নিয়ে তাঁর বক্তব্যে যথেষ্ট অসঙ্গতি রয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
লেনদেনের সূত্র ধরে নাম পাওয়া গিয়েছে দু ই ব্যক্তির। তাঁরা নিয়মিত পিয়ালির অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পেতেন। তাঁদের পরিচয় নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা। ইডির সন্দেহ এঁদের মাধ্যমেই টাকা সরাতেন সুদীপ্ত সেন।
২০১২-১৩ সালে হঠাত্ই পিয়ালির অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন পরিমান অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায়।
ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট থেকে পাওয়া যাচ্ছে,
একেক দিনে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা জমা পড়েছে পিয়ালির অ্যাকাউন্টে।
পরমুহূর্তেই বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে সেই টাকাই ট্রান্সফার হয়েছে।
দিনের শেষে ডেবিট-ক্রেডিট প্রায় সমান।
যদিও পিয়ালির দাবি এটা তাঁর ব্যক্তিগত খরচের অ্যাকাউন্ট।
এই অসঙ্গতির সূত্র ধরেই তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।