করোনা তো ছিল, দোসর বিরল কাওয়াসাকি রোগ! অসম লড়াইয়ে জিতে বাড়ি ফিরল চার মাসের শিশু

কোনও অতীত উদাহরণ নেই, এমনই 'অস্বাভাবিক' ঘটনার সাক্ষী হল রাজ্য। গর্বিত কলকাতা।

Reported By: তন্ময় প্রামাণিক | Updated By: May 31, 2020, 06:05 PM IST
করোনা তো ছিল, দোসর বিরল কাওয়াসাকি রোগ! অসম লড়াইয়ে জিতে বাড়ি ফিরল চার মাসের শিশু

তন্ময় প্রামাণিক:  চার মাসের শিশুর শরীরে একসঙ্গে হানা দিল কাওয়াসাকি ডিজিজ ও করোনা সংক্রমণ। জোড়া আক্রমণকে হারিয়ে শিশু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। লন্ডনের পর বিশ্বে দ্বিতীয় উদাহনের খবর মিলল শহর কলকাতায়।
কোনও অতীত উদাহরণ নেই, এমনই 'অস্বাভাবিক' ঘটনার সাক্ষী হল রাজ্য। গর্বিত কলকাতা। চার মাসের শিশু। শরীরে বাসা বেঁধেছিল কাওয়াসাকি রোগ। আবার অন্যদিকে তার করোনা পজেটিভ। এমন ঘটনা একেবারেই অস্বাভাবিক। অন্তত চিকিৎসাবিজ্ঞান সে কথাই বলছে।

সোমবার পথে 'না', ভাড়া বাড়ানোর দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীর ওপরেই ছাড়লেন বেসরকারি বাসমালিকরা
হুগলির তারকেশ্বরের বাসিন্দা চার মাসের একটি শিশু  জ্বরে আক্রান্ত হয়। পরিবার সূত্রে খবর, জ্বর কিছুতেই কমছিল না। তারপর তার গোটা শরীর ক্রমশ লাল হতে থাকে। ঠোঁট , গাল, জিভ একেবারে লাল টকটকে হয়ে ওঠে। চিকিৎসকের পরামর্শে মে মাসের ২তারিখ মুকুন্দপুরের এএমআরআই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় শিশুটিকে।

 শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক পরীক্ষা করে দেখেন কাওয়াসাকি রোগে আক্রান্ত চার মাসের ওই শিশু। এই কাওয়াসাকি সংক্রমণ ৬ মাসের নীচে কোন শিশুর শরীরে সাধারণত হয় না। এক্ষেত্রে ঘটনাটি শুধু বিরল নয় একেবারেই নজিরবিহীন।

এরপরই পেডিয়াত্রিক কার্ডিয়লজিস্ট দেখতে শুরু করেন ওই শিশুকে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায় শিশুটি করোনা পজেটিভ। কাওয়াসাকি রোগ মুক্ত করে ৬মে তাকে পাঠানো হয় এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে। সেখানে শিশুবিভাগ না থাকায় এমআর বাঙ্গুর কর্তৃপক্ষ ওই শিশুকে পাঠিয়ে দেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসার পর করোনামুক্ত হয়ে ১২মে ছুটি পেয়ে ওই শিশু বাড়ি ফেরে। আপাতত সে সুস্থ।
কাওয়াসাকি রোগ কী?
চিকিত্সকরা বলছেন, এটি একটি বিরল রোগ। খুব বেশি জ্বর, র‍্যাশ, লাল চোখ, শরীর ফুলে যাওয়া এবং ব্যথার উপসর্গ হয়। তবে এই রোগ সাধারণ এত ছোট শিশুর ক্ষেত্রে হয় না।

.