Keshtopur Death: কেষ্টপুরে জোড়া মৃত্যুর ঘটনায় নতুন মোড়, গ্রেফতার মামা গৌতম দে-র ৫ সহকর্মী
প্রাথমিকভাবে অনুমান, সেই সংক্রান্ত টাকাপয়সার ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে বিবাদ ও তার জেরে ক্রমাগত আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছিল। যদিও মেয়ে সুদেষ্ণা কেন আত্মঘাতী হলেন? সেই উত্তর এখনও অধরা।
অয়ন ঘোষাল: কেষ্টপুর ঐকতান আবাসনে মা গোপা রায় এবং মেয়ে সুদেষ্ণা রায়ের জোড়া আত্মহত্যার ঘটনার তদন্তে নতুন মোড়। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মৃতার দাদা গৌতম দে-র পাঁচ সহকর্মীকে গ্রেফতার করল বাগুইআটি থানা। গৌতম দে বিধাননগর পৌরসভার অস্থায়ী কর্মী। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারাও সকলে বিধাননগর পৌরসভার অস্থায়ী কর্মী।
এদের মধ্যে তিন জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। ট্রেড ও লাইসেন্স বিভাগের সুব্রত ধর, ট্রেড রেজিস্টার বিভাগের আবদুল্লা এবং জন্ম মৃত্যু নথিভুক্ত বিভাগের জিয়ারুল গোলদার। মিউটেশন বিভাগের একাধিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে ছয় অস্থায়ী পৌরকর্মীর মধ্যে যা কাগজপত্র সই সাবুদ হতো, তার প্রায় সব ক্ষেত্রে গোপা দেবীকে পার্টি করা হতো।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: 'সবাইকে তৃণমূল নাকে খত দিয়ে শেষে দলে নেবে’, তৃণমূলকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের
অর্থাৎ কাগজে তারও সই আছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, সেই সংক্রান্ত টাকাপয়সার ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে বিবাদ ও তার জেরে ক্রমাগত আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছিল। যদিও মেয়ে সুদেষ্ণা কেন আত্মঘাতী হলেন? সেই উত্তর এখনও অধরা। তাহলে কি মেয়েকে বিষ প্রয়োগ করে মা আত্মঘাতী? ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে তা স্পষ্ট হবে।
ধৃতদের মঙ্গলবার বেলা ১ টায় বারাসত আদালতে পেশ করা হবে। তার আগে সাড়ে ১১ টায় মেডিক্যাল করানোর জন্য বাগুইআটি থানা থেকে বের করা হবে।
আরও পড়ুন: Kuntal Ghosh: কুন্তল ঘোষ চিঠি মামলায় সিবিআই-কে জেলের ফুটেজ জমা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
জানা গিয়েছে, কেষ্টপুর প্রফুল্ল কাননে আসলে মামাবাড়িতে তিন তলার ফ্ল্যাটে থাকতেন মা-মেয়ে। কেষ্টপুরের অভিজাত আবাসনে মামা গৌতম দে-র সঙ্গেই থাকতেন দিদি গোপা রায় (৫৬) ও ভাগ্নী সুদেষ্ণা রায় (৩২)।
দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা চলছিল গোপা রায়ের। তারপর থেকেই মামার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন দিদি ও তাঁর মেয়ে। বিধাননগর মিউনিসিপ্যালিটির অস্থায়ী কর্মী ছিলেন মামা।
রবিবার রাতে তারাপীঠের উদ্দেশে রওনা হন মামা গৌতম দে। তারপর রাতে বাড়িতে ফোন করে কোনও উত্তর না মেলায় সিকিউরিটিকে দেখতে বলেন তিনি। সিকিউরিটি এসে দেখে কলাপসেবল গেটে তালা।
এরপরই দেখতে পান ফ্ল্যাটের ভিতর মেঝেতে পড়ে ভাগ্নীর নিথর দেহ। তবে মা তখনও জীবিত, মেঝেতে পড়ে কাতরাচ্ছেন। খবর পেয়েই বাড়ি ফিরে আসেন মামা। তবে ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে দিদি-ভাগ্নীর।