৫১ যাবজ্জীবন বন্দিদের মুক্তির সিদ্ধান্ত
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৫১ জন বন্দিকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এদের মধ্যে দুজন এসইউসিআই সদস্য। আজ মহাকরণে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এর আগে ৮৩ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তকে মুক্তি দিয়েছে রাজ্য। মাওবাদী নেতা সুশীল রায় এখনও জেলে বন্দি। রাজ্য সরকার তাঁর জামিনের বিরোধিতা করবে না বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বন্দিমুক্তি নিয়ে রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে। কিন্তু ছত্রধর মাহাত সহ অন্যান্য রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে আজ নীরবই থেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৫১ জন বন্দিকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এদের মধ্যে দুজন এসইউসিআই সদস্য। আজ মহাকরণে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এর আগে ৮৩ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তকে মুক্তি দিয়েছে রাজ্য। মাওবাদী নেতা সুশীল রায় এখনও জেলে বন্দি। রাজ্য সরকার তাঁর জামিনের বিরোধিতা করবে না বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বন্দিমুক্তি নিয়ে রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে। কিন্তু ছত্রধর মাহাত সহ অন্যান্য রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে আজ নীরবই থেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলে প্রায় ৫০০ জন রাজনৈতিক বন্দি আছেন। এপর্যন্ত চণ্ডী সরকার আর দেবলিনা চক্রবর্তী এই জামিনে মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের ইস্তাহারে বলা ছিল রিভিউ কমিটি গড়ে প্রতি মামলা স্টাডি করে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেবে সরকার। এছাড়া ২০১০ সালের ২১ জুলাই সমাবেশ এবং ২০১১-র ২০ মার্চের সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন সরকারে এলে রাজনৈতিক বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি দেব। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পালিত হয়নি অভিযোগ।
গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা কমিটি এপিডিআর অভিযোগ, তৃণমূল তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করেনি। কামতাপুরি এবং গ্রেটার কোচবিহারের কয়েকজন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হলেও এ পর্যন্ত কোনও মাওবাদীকেই মুক্তি দেওয়া হয়নি। রাজ্যে এখন ১৭ জন মাওবাদী যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। এসইউসিআইয়ের সংখ্যা ৫৪ জন। এপিডিআরের অভিযোগ, কাউকেই মুক্তি দেওয়া হয়নি।