আরাবুলের জগ ছোড়া থেকে অধ্যাপক নিগ্রহ- পরিবর্তনের পর শিক্ষক নিগ্রহের ৯ কাহন
কবে থামবে এই ট্র্যাডিশন?
নিজস্ব প্রতিবেদন: জমানা বদলালেও পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্যের এই ছবিটা যেন জলভাত। শিক্ষক নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেখানে ছাত্ররা কথা বলে ঘুসি, চড়ের ভাষায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাঙড় কলেজ, মাজদিয়া কলেজ থেকে রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজ। সেই ধারা আজও বহমান।
শিক্ষক নিগ্রহের ৯ কাহন
১০ ডিসেম্বর, ২০১১
অশোকনগর বয়েজ সেকেন্ডারি স্কুলে আক্রান্ত হন প্রধান শিক্ষক।
১৭ ডিসেম্বর ২০১১
যাদবপুর বিদ্যাপীঠে প্রধান শিক্ষককে তৃণমূল কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে চড় মারার অভিযোগ।
২৯ ডিসেম্বর ২০১১
গুমা রবীন্দ্র বিদ্যাপীঠে আক্রান্ত হন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
৫ জানুয়ারি ২০১২
রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
৭ জানুয়ারি ২০১২
অভিযোগ, মাজদিয়ার সুধীররঞ্জন লাহিড়ি কলেজে এসএফআইয়ের হাতে অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনা ঘটে।
১১ জানুয়ারি ২০১২
রামপুরহাট কলেজের অধ্যক্ষকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে টিএমসিপি ও ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে।
২৬ এপ্রিল ২০১২
ভাঙড় কলেজের এক শিক্ষিকাকে গালিগালাজ করে জগ ছুড়ে মারার অভিযোগ ওঠে ওই কলেজেরই তত্কালীন পরিচালন সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
২০১৫-র অগস্ট
রাতভর উপাচার্যকে আটকে রেখে নজিরবিহীন বিক্ষোভে মেতে ওঠে ঐতিহ্যশালী প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ।
২০১৯-সালের ফেব্রুয়ারি
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে হেনস্থার অভিযোগের পাশাপাশি ঘেরাও করে রাখা হয় সহ উপাচার্য এবং জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে।
কবে থামবে এই ট্র্যাডিশন?
শিক্ষাবিদরা নিন্দা করেন। সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। কিন্তু আদৌ কি থামবে শিক্ষাঙ্গনে এই নৈরাজ্য? এবার অবশ্য একটা নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। হীরালাল কলেজের অধ্যাপককে ফোন করে আশ্বস্ত করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। প্রণাম করে ক্ষমা চেয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা।
আরও পড়ুন- অধ্যাপক নিগ্রহের পর ক্ষমাপ্রার্থনাই পরম ধর্ম তৃণমূলের, নেপথ্যে ১৮?