বেহালায় একাকী প্রৌঢ়ার রহস্যমৃত্যু, আটক রঙমিস্ত্রি

দেহের আশেপাশে ছড়ানো প্রচুর জিনিসপত্র থেকে পুলিসের অনুমান, লুঠের জন্যই খুন করা হয়েছে প্রৌঢ়াকে। প্রৌঁঢ়ার ফোনটিও খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

Updated By: Jul 25, 2019, 06:55 PM IST
বেহালায় একাকী প্রৌঢ়ার রহস্যমৃত্যু, আটক রঙমিস্ত্রি

নিজস্ব প্রতিবেদন : বেহালার শিশিরবাগানে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু প্রৌঢ়ার। মৃতার নাম শুভ্রা ঘোষদস্তিদার। বৃহস্পতিবার বাড়ির দোতলার সিঁড়ির সামনে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তবে, এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান বেহালা থানা পুলিসের। মৃতার শরীরে আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মা।  

সূত্রের খবর, এদিন বাড়িতে একাই ছিলেন শুভ্রাদেবী। তাঁর ছেলে ও পুত্রবধু অফিসে যান। তাঁর নাতনি পড়তে গিয়েছিল। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ পরিচারিকা কাজ করতে এসে বাড়ির পশ্চিমের দরজা ধাক্কা দেন। কিন্তু কোনও সাড়া-শব্দ না পেয়ে তিনি ফিরে যান। ২০-২৫ মিনিট বাদে আবারও ফিরে আসেন তিনি। এবার কলিং বেল বাজিয়েও ভিতর থেকে কোনও আওয়াজ পাননি। এরপর সন্দেহ হওয়ার প্রতিবেশিদের জানান পরিচারিকা। প্রতিবেশিদের সঙ্গে এসে সেই পশ্চিমের দরজাটি ঠেলতেই তা খুলে যায়। প্রতিবেশিদের দাবি, ভেজানো ছিল দরজাটি। এরপর সিঁড়ি দিয়ে উঠে দোতলায় প্রৌঢ়ার উপুড় হওয়া দেহ পাওয়া যায়। মৃতার গলায় নীল রঙের একটি কাপড় পেঁচানো ছিল।

আরও পড়ুন : নিউ আলিপুরে ভূত সেজে চুরি করে পালাতে গিয়ে ধৃত যুবক

ফরেন্সিক ডিপার্টমেন্টের অনুমান পেছন থেকে শাড়ি দিয়ে গলা চেপে ধরা হয়েছিল বৃদ্ধার। তার জেরেই শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু। পুলিসের অনুমান, ১১টায় পরিচারিকার আসা পর্যন্তও ভিতরেই ছিল আততায়ী। পরিচারিকা গিয়ে ফিরে আসা পর্যন্ত সময়েই সুযোগ বুঝেই পালায় সে। আততায়ীর সংখ্যা এক না একাধিক তা জানতে ঘটনাস্থলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা করছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। পৌঁছেছে স্নিফার ডগ।

দেহের আশেপাশে ছড়ানো প্রচুর জিনিসপত্র থেকে পুলিসের অনুমান, লুঠের জন্যই খুন করা হয়েছে প্রৌঢ়াকে। প্রৌঁঢ়ার ফোনটিও খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

দিন কয়েক আগেই রঙের ও কাঠের কাজ হয়েছিল প্রৌঢ়ার বাড়িতে। সেই দিকটিও খতিয়ে দেখছে পুলিস। সূত্রের খবর, সুলতান নামের এক ব্যক্তিকে বাড়ি রঙের ভার দেওয়া হয়। আলম ও রাজেশ নামের দুই রঙমিস্ত্রিকে নিয়োগ করেন সুলতান। আলম ও রাজেশ আবার এক কাঠের মিস্ত্রিকে কাঠের কাজে সাহায্য করার জন্য ডেকে পাঠায়। পুলিসের সন্দেহ, এর মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে রহস্যের জট। ইতিমধ্যেই আলমকে আটক করেছে পুলিস। জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মা বলেন, "কিছু কিছু ক্লু পাওয়া গিয়েছে। আশা করছি দ্রুত রহস্যের সমাধান হবে।"  

 

.