Drug Racket Busted by STF: ছাগল ব্যবসার আড়ালে মাদকের কারবার, বিধাননগরে গ্রেফতার দম্পতি; উদ্ধার কোটি টাকার মাদক
বুধবার দুপুরের পরে এই বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায় যে যারা এই বাড়িতে যাতায়াত করছেন তাঁদের সঙ্গে কোনও না কোনও জায়গায় মাদক পাচার চক্রের যোগ থাকলেও থাকতে পারে। এই সন্দেহের জায়গা ধরে বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় এই বাড়িতে এসটিএফ-এর একটি ১৪ জনের টিম এসে পৌঁছায়। তাঁদের হাতে প্রিন্টার, স্ক্যানার সহ সমস্ত যন্ত্র ছিল। এরপরেই বেরিয়ে আসতে শুরু করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
অয়ন ঘোষাল: বিধাননগরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে এসটিএফ-এর হানা। মাদক ব্যবসার অভিযোগে পাকরাও মহম্মদ মোমিন খান নামে এক ব্যবসায়ী। উদ্ধার করা হয়েছে কোটি কোটি টাকার মাদক। প্রাউ সাড়ে ছয় কেজি হেরোয়িন এবং ব্রাউন সুগার উদ্ধার করা হয়েছে। পাহাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে নগদ সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা। বিধাননগরের সেক্টর চারের নাওভাঙা এলাকায় বহুতলে হানা দেয় এসটিএফ।
এসটিএফ সূত্রে খবর পার্ক সার্কাসের একটি ঠিকানায় হানা দিয়ে ওই ব্যবসায়ির হদিশ পাওয়া যায়। বুধবার বিকেল পাঁচটা থেকে তল্লাশি চালায় পুলিস। ছাগলের ব্যবসার আড়ালে মাদকের ব্যবসা চালাত ওই ব্যক্তি।
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে প্রায় তিনদিন আগে পার্ক সার্কাসের একটি মাদকচক্রে প্রথম পুলিস হানা দেয়। সেই সময় বেনিয়াপুকুর থানার পুলিস হানা দেয়। সেখানে হানা দিয়ে একজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। জানা যায় সে পেশায় মাদক পাচারকারী। তার কাছেই প্রথম জানা যায় সেই মাদক সে পেয়েছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার অন্তর্গত একটি বাড়ি থেকে।
সেই জায়গা থেকেই প্রথমে বেনিয়াপুকুর থানা এবং তারপরে রাজ্য পুলিসের এসটিএফ-এর নার্কোটিক শাখা তাঁদের কাছে বিধাননগর দক্ষিণ থানা এলাকার, সল্টলেক সেক্টর চারের, ৫বি, নাওভাঙার এই বাড়ির দিকে নজর পরে।
আরও পড়ুন: SSC, Shantanu Banerjee: তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত, এবার চাকরি গেল নিয়োগ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের...
এরপরে জিজ্ঞাসাবাদ করতে করতে এই বিষয়ে ক্রমশ এসটিএফ নিশ্চিত হয় যে এই বাড়িতে এমন কিছু লোকের যাতায়াত আছে যাদের গতিবিধি অত্যন্ত সন্দেহজনক। এবং এলাকায় তাঁদের কিছু ইনফরমার বিগত ৭২ ঘণ্টায় এই বাড়িতে কাদের যাতায়াত এবং তাঁদের সম্পর্কে খোঁজখবর করতে শুরু করেন।
বুধবার দুপুরের পরে এই বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায় যে যারা এই বাড়িতে যাতায়াত করছেন তাঁদের সঙ্গে কোনও না কোনও জায়গায় মাদক পাচার চক্রের যোগ থাকলেও থাকতে পারে।
এই সন্দেহের জায়গা ধরে বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় এই বাড়িতে এসটিএফ-এর একটি ১৪ জনের টিম এসে পৌঁছায়। তাঁদের হাতে প্রিন্টার, স্ক্যানার সহ সমস্ত যন্ত্র ছিল। এরপরেই বেরিয়ে আসতে শুরু করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন: Droupadi Murmu: চলতি মাসেই কলকাতায় আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্ম...
আলমারির পিছনের দেওাএ সেলটেপ দিয়ে আটকে রাখা ছিল মাদকের পাউচ। দেখা যায় একটি বন্ধ ফ্ল্যাটের একটি ঘরে চলছে এসি। সেখানে রয়েছে শুধুমাত্র ছাগল। এই ফ্ল্যাটের বিভিন্ন কোনায় তল্লাশি চালাতেই ক্রমাগত মাদক বেরতে শুরু করে। পাশের দ্বিতীয় ফ্ল্যাটে খুঁজে পাওয়া যায় বিপুল টাকা। এখনও পর্যন্ত পাঁচ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করেছে এসটিএফ। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই যে পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর ওজন প্রায় সাড়ে পাঁচ কেজি। এর এই মুহুর্তের বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা।
এসটিএফ মনে করছে শুধুমাত্র এই বাড়ি থেকে এখনও পর্যন্ত যেটুকু উদ্ধার করা গিয়েছে তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। অন্তত এমন ১২ জন মাদক পাচারকারীর তালিকা এই বাড়ি থেকে আটক হওয়া দুজনের থেকে পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে আদালতে পেশ করার পরেই পুলিস এদের দুজনকেই ১৪ দিনের হেফাজতে চাইবে বলে জানা গিয়েছে।