SSC, Shantanu Banerjee: তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত, এবার চাকরি গেল নিয়োগ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের...
দু'জনেই তৃণমূলের হুগলির যুবনেতা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষের পর এবার ইডি-র হেফাজতে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আবার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ।
সুতপা সেন: ব্যবধান মাত্র একদিনের। দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর এবার চাকরিও খোয়ালেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়! তৃণমূল যুবনেতা তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করল রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ।
দু'জনেই তৃণমূলের হুগলির যুবনেতা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষের পর এবার ইডি-র হেফাজতে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আবার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। ইডি সূ্ত্রে খবর, কুন্তলের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন শান্তনু। বস্তুত, দু'জনের বাড়িতে একযোগে তল্লাশিও চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের বাড়িতে পাওয়া গিয়েছে নিয়োগে সংক্রান্ত নথিও!
আরও পড়ুন: Kaustav Bagchi: কৌস্তভের বিরুদ্ধে FIR-এ স্থগিতাদেশ, হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য
রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদের কর্মী ছিলেন শান্তনুর বাবা জয়দেব বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০৮ সালে প্রয়াত হন তিনি। বাবার মৃত্যুর পর চাকরি পান শান্তনু। হুগলির সোমড়াবাজারের কোলড়া মোড়ে বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদের অফিসে কর্মরত ছিলেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রথম প্রথম অফিসে আসতেন নিয়মিত। এরপর ২০১৪ সালে যখন হুগলি জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি হন শান্তনু, তারপর থেকেই ‘চালচলন’ বদলে যায় তাঁর মাসে এক-দু'দিন কালো এসইউভি চড়ে অফিসে আসতেন শান্তনু। থাকতেন মিনিট দশেক!
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির আগে শান্তনুকে সাতবার জেরা করে ইডি। শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে ম্যারাথন জেরার পর শেষপর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। কেন? তদন্তকারীর দাবি, শান্তনুর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে।