সন্ধ্যায় মেয়েকে জামাইষষ্ঠীর নিমন্ত্রণ, রাতে জামাইয়ের ফোনে জানা গেল সব শেষ!

ঠিক ঘণ্টা দুয়েক পর জামাইয়ের নম্বর থেকে ফোন পেয়েছিলেন তিনি

Updated By: Jun 1, 2018, 12:51 PM IST
সন্ধ্যায় মেয়েকে জামাইষষ্ঠীর নিমন্ত্রণ, রাতে জামাইয়ের ফোনে জানা গেল সব শেষ!

নিজস্ব প্রতিবেদন:  রাত ৮.৪৫-এ মেয়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছিলেন মা। জামাই ষষ্ঠীর নিমন্ত্রণ সেরেছিলেন ফোনেই। জামাইয়ের জন্য পাঞ্জাবিও কিনে রেখেছেন, সেকথা জানিয়েছিলেন মেয়েকে। এসবের ঠিক ঘণ্টা দুয়েক পর জামাইয়ের নম্বর থেকে ফোন পেয়েছিলেন তিনি। আর সেই এক ফোনেই যেন গোটা পৃথিবী অন্ধকার হয়ে গেল শ্যামনগরের বাসিন্দা বলাকা চক্রবর্তীর। জামাইয়ের ফোনে একমাত্র মেয়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়েছিলেন তিনি। মেয়ের সঙ্গে মাত্র ২ ঘণ্টা আগেই কথা বলেছিলেন, তার মধ্যে কী এমন ঘটল, তাই এখন ঠাওর করতে পারছেন না শ্যামনগরের চক্রবর্তী পরিবার!

আরও পড়ুন: সুখবর! বিপুল নিয়োগের পথে পশ্চিমবঙ্গ সরকার

ম্যাট্রিমনি সাইটে আলাপ। সেখান থেকেই ভালোবাসা, তারপর বিয়ে। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে বাঁশদ্রোণীর পাত্র মৃগাঙ্ক রায়ের সঙ্গে বিয়ে শ্যামনগরের বাসিন্দা পায়েল চক্রবর্তীর। মৃগাঙ্ক নিউটাউনের একটি বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে শিক্ষকতা করেন। পায়েলের পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে মেয়ের সঙ্গে কথা হয় তাঁদের। কিন্তু রাত পৌনে ১০টা নাগাদ মৃগাঙ্ক ফোন করে জানান, তাঁদের মেয়ে মৃত। কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল, তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন: মধ্যরাতে বাড়ির সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়েই চলছিল আসল কাজ! 

যে মেয়ের সঙ্গে মাত্র দেড়-দু ঘণ্টা কথা বলেছেন, তাঁর মৃত্যু হঠাত্ কীভাবে হতে পারে, তা বুঝতে পারছেন না পায়েলের পরিবার।  স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। পায়েলের বাবা-মায়ের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মৃগাঙ্ক, তাঁর দাদা ও মা পায়েলের ওপর নানারকম মানসিক অত্যাচার করত। বিয়ের এই এক বছরের মধ্যেই সেকথা একাধিকবার ফোন করে মাকে জানিয়েছিলেন পায়েল। দুই পরিবারের সমঝোতায় সেই সমস্যা কিছুটা মিটেছিল, কিন্তু তা যে আদৌ পুরোপুরি মেটেনি, তার প্রমাণ মিলল বৃহস্পতিবার রাতেই।

পায়েলের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পায়েলের স্বামী মৃগাঙ্ক রায়কে আটক করেছে পুলিস। ঘটনার পর থেকে পলাতক ভাসুর মৃদুল রায় ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।    

.