Bangladesh: মায়ানমার সীমান্তে আশঙ্কার মেঘ! পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
Bangladesh: পররাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, মায়ানমারের উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং সীমান্তবর্তী দেশগুলোর করণীয় নিয়ে জরুরি বৈঠকের আয়োজন করেছে থাইল্যান্ড
সেলিম রেজা, ঢাকা: মায়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ৬ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে আগামিকাল বৃহস্পতিবার বৈঠকের আয়োজন করেছে থাইল্যান্ড। বৈঠকে যোগ দেবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি আজ ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুন-অন্তর্বাসে লুকোনো প্রায় ২ কেজি সোনা! গ্রেফতার এয়ার ইন্ডিয়ার কেবিন সদস্য...
পররাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, মায়ানমারের উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং সীমান্তবর্তী দেশগুলোর করণীয় নিয়ে জরুরি বৈঠকের আয়োজন করেছে থাইল্যান্ড। ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ, মায়ানমার, ভারত, চিন, লাওস ও কম্বোডিয়াকে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ওই বৈঠকে যোগ দেবেন।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জি ২৪ ঘন্টার বাংলাদেশ প্রতিনিধিকে জানান, মূলত মায়ানমারের পুরো পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। মায়ানমারের চলমান অস্থিরতাকে কেন্দ্র করে মানবপাচার, চোরাচালান, মাদকসহ নানাবিধ অপরাধ বেড়ে চলেছে। এসব বিষয় আলোচনায় থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের ২৭০ কিলোমিটার পুরোটাই এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ মায়ানমার সীমান্তবর্তী নাফ নদীর মায়ানমারের অংশে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আরাকান আর্মি। ওই নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশের নাফ নদীতে নৌ চলাচলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাড়ানো হয়েছে বিজিবির টহল।
বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জি ২৪ ঘন্টার বাংলাদেশ প্রতিনিধিকে টেলিফোনে বলেন, যেহেতু সীমান্তের ওপার বিদ্রোহী আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে, সে কারণে আমরা সীমান্তে সতর্কতা বজায় রেখেছি যাতে কোনেও অবৈধ অনুপ্রবেশ না ঘটে। প্রায় আট মাসেরও বেশি সময় ধরে মায়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, মায়ানমারের চলমান এই যুদ্ধে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা সহযোগী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি-এআরএ ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসাসহ কয়েকটি সংগঠনের অবস্থান ছিল জান্তা বাহিনীর পক্ষে। এ কারণে সীমান্তবর্তী আরাকান রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার ফলে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ এবং বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)