বিরিয়ানি আনতে বেরিয়েছিল যুবতী, মাঝরাতে রাস্তার উপর মিলল বস্তাবন্দি দেহ, চাঞ্চল্য একবালপুরে

নেশা করত বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। বন্ধুর বাড়িতে তার সঙ্গেই ২ মাস ধরে ছিল সে।

Reported By: রণয় তেওয়ারি | Updated By: Nov 19, 2020, 01:29 PM IST
বিরিয়ানি আনতে বেরিয়েছিল যুবতী, মাঝরাতে রাস্তার উপর মিলল বস্তাবন্দি দেহ, চাঞ্চল্য একবালপুরে
নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন : এক তরুণীর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে একবালপুরে। বুধবার রাতে একবালপুর থানা এলাকার এমএম আলি রোডের উপর থেকে ওই বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম সাবা খাতুন বলে জানা গিয়েছে। তবে এলাকায় নয়না নামেই পরিচিত ছিল সে। বছর ২২-এর যুবতী সাবা, ওয়ারশি লেন এলাকায় রেশমা নামে তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে গত ২ মাস ধরে ছিল বলে জানা গিয়েছে।

সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হয় সাবা। তারপর সন্ধ্যা থেকেই তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনটি তারপর থেকেই সুইচড অফ ছিল বলে জানা গিয়েছে। এরপর রাত আড়াইটে নাগাদ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে এমএম আলি রোডে সাদা রঙের একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ভালো করে লক্ষ্য করে সেই বস্তার মধ্যে মানুষের পা দেখতে পান স্থানীয়রা। সন্দেহভাজন বস্তাটির বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় একবালপুর থানায়। 

ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে একবালপুর থানার পুলিস। স্থানীয়রা ও পুলিস মিলে তারপর সেই সন্দেহভাজন বস্তাটিকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই বস্তা খুলতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ২২ বছরের যুবতী সাবা খাতুনকে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে। কারণ, মৃতার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ওই তরুণীর গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন মিলেছে। বাঁ হাতের কনুইতেও মিলেছে ক্ষতচিহ্ন। এখন কে বা কারা ওই তরুণীকে খুন করল? কেন খুন করল? প্রভৃতি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মৃতা সাবা খাতুনের বান্ধবী রেশমাকে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে এই ঘটনায় মৃতার কাকা জাকির হোসেন জানিয়েছেন, সাবা সব সময়ই নেশা করত। নেশা করার অভ্যাস ছিল তার। মায়ের মৃত্যুর পর থেকে ওয়াটগঞ্জ এলাকায় দিদার বাড়িতেই ছিল সে। কখনও কখনও আবার বাবার কাছে গিয়েও থাকত। নেশার অভ্যাস ছাড়ানোর জন্য ওর মামার বাড়ির আত্মীয়েরা সাবাকে মাস ছয়েক একটি রিহ্যাবিলেশন সেন্টারেও রেখেছিল। তারপর সেখান থেকে ফিরে আবার আবার মামার বাড়িতে গিয়েই ওঠে সাবা। তবে কিছুদিন পর থেকে রেশমা নামে ওই বন্ধুর বাড়িতে থাকতে শুরু করে। ইদানিং ওই বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুর বাড়িতেই ছিল সাবা।

পাশাপাশি, মৃতার জামাই বাবু শেখ গোলাম মইনুদ্দিন আরও বলেন, "নয়না আমাকে বলেছিল, ওর মামারা ওর উপর অত্যাচার করে, তাই ওর ওখানে থাকতে ভালো লাগে না। এখানে বন্ধুর বাড়িতে এসে থাকছিল। একটু নেশা করত। গত সপ্তাহে মত্ত অবস্থায় দেখা গিয়েছিল নয়নাকে। গতকাল বিকেল ৪টের সময় বিরিয়ানি আনতে বেরিয়েছিল। ওর পেটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে দেখলাম। যদিও ওর কোনও শত্রু আছে কিনা জানি না।"

আরও পড়ুন, মোটা অঙ্কের বিল না মেটানোয় ছাড়া হল না মৃতদেহ, অভিযোগ বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে

.