বামেদের বনধে সমর্থন 'সেকুলার' আব্বাসের, কর্মী-হাজিরায় কড়া প্রশাসন
শুক্রবার থেকে আবার রাজ্যে খুলছে স্কুল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের মুখে রাজ্যে নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত? নবান্ন অভিযানে লাঠিচার্জের প্রতিবাদে বামেদের ডাকা বনধকে সমর্থন করল আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। দলের তরফে সরকারের ভূমিকার নিন্দা করে বিবৃতি দেওয়া হল, '১১ ফ্রেরুয়ারি বাংলার গণতন্ত্রের ইতিহাসে কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে'। এদিকে আগামীকাল সরকারি কর্মীদের অফিস হাজিরা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন।
একুশের বিধানসভা ভোটে আব্বাস সিদ্দিকীর আসন ভাগাভাগি করতে চেয়ে সোনিয়া গান্ধীর অনুমতি চেয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। দলের সভানেত্রীকে চিঠি লিখেছেন বিধানসভা বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। চিঠিতে লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সংখ্যালঘু ভোট কমার কথা উল্লেখ করে লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পটভূমিতে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (IFS) নামে একটি নতুন দলের সংযোজন হয়েছে। যার নেপথ্যে রয়েছেন হুগলির ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী (Abbas Siddiqui)। মুসলিম, দলিত, আদিবাসী ও অন্যান্য অনগ্রসর জাতি-উপজাতির মানুষদের সমর্থন আদায়-ই তাদের লক্ষ্য। এখন সুবক্তা আব্বাস সিদ্দিকী শুধু যে মুসলিমদের মধ্যে জনপ্রিয় এমনটা নয়। তিনি দলিত ও আদিবাসীদের মধ্যেও সমান জনপ্রিয়। তাই (Left front) বাম-কংগ্রেস (Congress) জোটের সঙ্গে যদি IFS যোগ দেয়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে তা গেম চেঞ্জার হতে পারে।' আর এবার নবান্ন অভিযান ইস্যুতে সরকারে বিরোধিতায় বামেদের পাশে দাঁড়াল আব্বাস উদ্দিনের ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে Amit Shah জিতলে বাংলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করে দেব: Mamata
এদিকে বামেদের বনধে কড়া অবস্থান নিয়েছে সরকার। রাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামীকাল সরকারি অফিস খোলা থাকবে। কর্মচারীদের হাজিরা বাধ্যতামূলক। যদি কেউ না আসেন, সেক্ষেত্রে বেতন কাটার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে আবার কাল থেকে খুলছে স্কুল। এই পরিস্থিতিতে বামেদের বনধ কতটা সফল হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।