অভিষেকের মৃত্যুর দায় এড়াতে মুচলেখা লেখাল পুলিস
অবিবেচকের মতো কাজ করার পর এবার দায় এড়াতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটাল কলকাতা পুলিস। তীব্র গরমেও চাকুরিপ্রার্থীদের শারীরিক পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিল কলকাতা পুলিস। বুধবার তার বলি হন অভিষেক পাল নামে এক যুবক। এবার ঘটনার দায় এড়াতে মৃতের পরিবারকে দিয়ে মুচলেকা লেখানো হল।
অবিবেচকের মতো কাজ করার পর এবার দায় এড়াতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটাল কলকাতা পুলিস। তীব্র গরমেও চাকুরিপ্রার্থীদের শারীরিক পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিল কলকাতা পুলিস। বুধবার তার বলি হন অভিষেক পাল নামে এক যুবক। এবার ঘটনার দায় এড়াতে মৃতের পরিবারকে দিয়ে মুচলেকা লেখানো হল। যাতে অভিষেকের পরিবারকে দিয়ে লেখানো হয়েছে, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন।
মুখ্যমন্ত্রী যখন তীব্র গরমে পুলিসকর্মীদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। স্কুলে গরমের ছুটি বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। তখন চাকুরিপ্রার্থীদের ১,৬০০ মিটার দৌড় ও লংজাম্পের পরীক্ষা চালিয়ে গিয়েছে কলকাতা পুলিস। বুধবার এই পরীক্ষা দিতে এসেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন ইছাপুরের বাসিন্দা অভিষেক পাল। এর পর অসুস্থ ওই যুবককে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করে দায় সেরেছিল কলকাতা পুলিস। রাতে মৃত্যু হয় অভিষেকের। এবার সেই দায়ও ঝেড়ে ফেলতে মৃত অভিষেকের পরিবারের ওপর মানসিক চাপ তৈরি করল পুলিস। তাঁদেরকে দিয়ে লেখানো হল মুচলেকা।
অভিষেকের দাদা পার্থ পাল এদিন ফোনে জানান, "আমরা চাইনি বডি কাটাছেঁড়া করা হোক। কিন্তু থানায় আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করা হয়নি। বলা হয়, ডাক্তার যদি সার্টিফিকেটে `নর্মাল ডেথ` লিখে দেন তাহলে পোস্টমর্টেম ছাড়াই আমরা বডি নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু ডাক্তার সার্টিফিকেটে লিখেছিলেন সানস্ট্রোকের কারণে মৃত্যু হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই আমরা পুলিসের কথামতো মুচলেকায় লিখেছি আমাদের কারও বিরুদ্ধে আমাদের কোনও অভিযোগ নেই।"
চিকিত্সক ডেথ সার্টিফিকেটে লিখেছেন সান স্ট্রোকেই মৃত্যু হয়েছে অভিষেকের। আইনে এমন সুযোগ রয়েছে, যাতে কোনও পরিবার চাইলে আবেদন জানিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মৃতদেহ নিয়ে যেতে পারেন। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই পুলিস মৃতের পরিবারকে দিয়ে এই মুচলেকা লিখিয়ে নেয় যে, কারও বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ নেই। আদতে কলকাতা পুলিসের শীর্ষ কর্তাদের চরম গাফিলতির দায় এড়াতেই এই উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।