শ্যাম ও কুল বাঁচিয়ে ভারসাম্যের রাজনীতি সিঙ্ঘভির
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানালেন কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শ্যামও রাখলেন আবার কুলও বাঁচালেন কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। বিধানসভায় কংগ্রেস নেতাদের পাশে বসিয়ে রাজ্যসভার কংগ্রেস প্রার্থী জানিয়ে দিলেন, বিজেপিকে রুখতে এটা তৃণমূলের সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক সমঝোতা। এর মানে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট নয়। এরইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সিঙ্ঘভি।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার পঞ্চম আসনে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। শুক্রবারই তাঁকে সমর্থন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘোষণার পরই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছিল, তাহলে কি কংগ্রেস-তৃণমূল জোট হচ্ছে? সাম্প্রতিককালে এরাজ্যে মমতার বিরোধিতায় বামেদের হাত ধরেছেন অধীর চৌধুরীরা। কংগ্রেসকে নিয়ে চলতে আগ্রহী সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও। যদিও তাতে 'বাগড়া' দিয়েছেন প্রকাশ কারাট।
দিন কয়েক আগেই কংগ্রেস বিধায়ক বৈঠকে প্রস্তাব পাশ হয়েছিল, রাজ্যসভার নির্বাচনে তৃণমূলের সহযোগিতা নেওয়া হবে না। বামেদের সমর্থন নেওয়া যেতে পারে। এরপর মমতার ঘোষণায় স্বভাবতই চাপে পড়ে যায় প্রদেশ কংগ্রেস। অধীর চৌধুরী শুক্রবার বলেন, আগ বাড়িয়ে সমর্থন দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী কংগ্রেসকে সমর্থন দেওয়ার পর রবীন দেবকে প্রার্থী করে সিপিএম।
আরও পড়ুন- ট্রেনের সংরক্ষিত কামরার টিকিট এবার হস্তান্তর করতে পারবেন যাত্রীরা
রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে কংগ্রেস। অন্যদিকে রাজ্যসভার নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন করছে তারা। হাইকম্যান্ডের এই সমীকরণ নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির জবাব, অনেক সিদ্ধান্ত সময় ও বিষয়ের উপরে নেওয়া হয়। বিজেপি বিরোধিতাই দুই দলকে এক বন্ধনীতে এনেছে। এটা কোনও জোট নয়। বিষয়ভিত্তিক সমর্থন। রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।
নিজের বাংলা-যোগের কথাও তুলে ধরেছেন রাজস্থানের বাসিন্দা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তাঁর কথায়, ''আমার মা এখানেই শিক্ষালাভ করছিলেন। ৮২ বছর বয়সেও বাংলা বুঝতে ও বলতে পারেন। আমার অনেক আত্মীয় থাকেন কলকাতায়। বিনা নিমন্ত্রণেই তাঁদের কাছে যেতে পারি। স্বামীজি, রামকৃষ্ণ, নেতাজি ও রবীন্দ্রনাথের ভূমিতে প্রার্থী হতে পেরে গর্বিত। আমাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ।''
রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০১৯ সালের আগে বিজেপি বিরোধিতায় তৃণমূলকে পাশে চাইছে কংগ্রেস। আবার প্রদেশ নেতাদের কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে হাইকম্যান্ডকে।শুক্রবার মোদীকে ঠেকাতে বিরোধী জোটের কথা বলেছিলেন সনিয়া গান্ধীও। সেই প্রেক্ষাপটেই তৃণমূলের আরও কাছাকাছি আসতে চাইছে দশ জনপথ।
আরও পড়ুন- রাজ্যসভায় হাতে 'হাত' মমতার