কাল থেকে অ্যাসিড কিনতে গেলে নিয়ে যান পরিচয়পত্র
সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞার ঠেলায় এবার রাজ্যের আমজনতার অ্যাসিড ব্যবহারে জোরদার ধাক্কা। নিষেধাজ্ঞার ধাক্কা লাগতে চলেছে শৌচাগার থেকে রান্নাঘর পর্যন্ত। কারণ, পরিচয়পত্র দিয়ে এবং কতটা প্রয়োজন তার নথি জমা দিয়েই কিনতে হবে শৌচাগার পরিস্কার করার মিউরেটিক অ্যাসিড বা রান্নার স্বাদ বাড়ানোর অ্যাসিটিক অ্যাসিড, যাকে বলা হয় ভিনিগার।
সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞার ঠেলায় এবার রাজ্যের আমজনতার অ্যাসিড ব্যবহারে জোরদার ধাক্কা। নিষেধাজ্ঞার ধাক্কা লাগতে চলেছে শৌচাগার থেকে রান্নাঘর পর্যন্ত। কারণ, পরিচয়পত্র দিয়ে এবং কতটা প্রয়োজন তার নথি জমা দিয়েই কিনতে হবে শৌচাগার পরিস্কার করার মিউরেটিক অ্যাসিড বা রান্নার স্বাদ বাড়ানোর অ্যাসিটিক অ্যাসিড, যাকে বলা হয় ভিনিগার।
আগামীকাল থেকে কলকাতায় এই নির্দেশিকা জারি হচ্ছে। দেশে অ্যাসিড হামলার ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলায় রাজ্যগুলিকে দ্রুত তত্পর হতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। আর সেই অনুসারেই রাজ্য সরকার গত তিরিশে নভেম্বর এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। কলকাতা পুলিসের মাধ্যমে প্রতিটি থানায় তা পৌঁছে গিয়েছে। ওই নির্দেশিকা অনুসারে
প্রতিটি দোকানে একটি লগবুক বা রেজিস্টার রাখতে হবে।
অ্যাসিডের ক্রেতার যে কোনও সরকারি পরিচয়পত্র দেখানো বাধ্যতামূলক
ক্রেতার নাম, ঠিকানা এবং কী কারণে অ্যাসিড কেনা হচ্ছে তার খতিয়ান রাখতে হবে ওই লগবুকে
কলকাতায় পুলিসের ডিসি এবং জেলায় এসডিও কে প্রতি ১৫ দিন অন্তর দোকানে রাখা অ্যাসিডের হিসাব ও তথ্য জানাতে হবে
স্কুল-কলেজের ল্যাবরেটরিতেও অ্যাসিড ব্যবহার হয়। তাই সেখানকার জন্যও রয়েছে নির্দেশিকা।
ল্যাবরেটরিতে নির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়ে একজন কর্মী রাখতে হবে যিনি অ্যাসিডের ব্যবহার সংক্রান্ত প্রতি গ্রামের হিসাব রাখবেন
ছাত্র-ছাত্রীরা ল্যাব থেকে বেরনোর সময় প্রয়োজনে তল্লাসি চালানো হবে
অ্যাসিডে নিষেধাজ্ঞার অবশ্যই মাপকাঠি রয়েছে। কিন্তু সেই তালিকা যেভাবে তৈরি করা হয়েছে, তাতে সাধারণ মিউরেটিক অ্যাসিড থেকে শুরু করে কার্বলিক বা অ্যাসিটিক অ্যাসিডও পড়েছে। শরীরে এক শতাংশও ক্ষতি করে এমন অ্যাসিড এই তালিকায় পড়ছে।