জিবি শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা
শর্ত, শর্তের ওপর ফের শর্ত। এভাবেই কাটল ছদিন। ধস চিকিৎসা ব্যবস্থায়, এরপর? প্রহর গুনছে রাজ্যবাসী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার প্রায় ৫ ঘণ্টার ধরে চলেছে জেনারেল বডির মিটিং। মিটিং শেষ বেরিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় রাজী তাঁরা। তবে নবান্ন বা রাজভবনের বন্ধঘরে নয়। প্রকাশ্যে ক্যামেরার সামনে হোক রফাসূত্রের আলোচনা এমনটাই চাইছেন NRS-এর আন্দোলনকারীরা। এদিন তাঁরা জানিয়েছেন, কবে, কোথায় আলোচনা হবে সেই বিষয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন প্রেস বিবৃতিতে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল রুঢ় কন্ঠেই তাঁরা বলেন "আলোচনা হোক, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ শেষ হোক সেটা আমরাও চাইছি। তবে বন্ধ দরজার ভিতরে বৈঠক হবে না। মাননীয়া কোথায়, কখন বসবেন সেটা ওনার ওপরই ছাড়লাম। মুখ্যমন্ত্রী জনস্বার্থে সিদ্ধান্ত নিন এবার।" পাশাপাশি তাঁদের দাবি, এই আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকতে হবে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের পর্যাপ্ত প্রতিনিধি দল। থাকবে সংবাদ মাধ্যমও। পাশাপাশি তাঁরা এও উল্লেখ করেছেন, গতকাল মাননীয়ার প্রেস বিবৃতি ছিল বিভ্রান্তিমূলক। কাজেই আলোচনা প্রয়োজন। মুখোমুখি বসে তাঁদের সমস্ত দাবি মানতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। সবমিলিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীর কোটেই বল ঠেলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
আরও পড়ুন: আজকের জিবিতেই কি ঠিক হবে আন্দোলনের ভবিষ্যত? চড়ছে উত্তেজনার পারদ
উল্লেখ্য এদিন জেনারেল বডির মিটিং-এ উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল, সিনিয়র ডাক্তার, রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা-সহ আরও অনেকেই। তবে এই ম্যারাথন মিটিং-এর পরও কাটল না জট। মুখোমুখি আলোচনার জন্য আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে রাজ্যবাসীকে? তাই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। পাশাপাশি একেপর এক শর্ত চাপাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অন্যদিকে কার্যত ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। বাড়ছে মানুষের ভোগান্তি। ফের কী বলবেন মুখ্যমন্ত্রী? কী সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি? ফের প্রশ্ন চিহ্নের মুখে রফাসূত্র। তবে দীর্ঘ বৈঠক থেকে যা নির্যাস বেরলো তাতে স্পষ্ট, আপাতত উঠছে না কর্মবিরতি।