নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় সামান্য ফাঁক রাখতে রাজি নয় রাজ্য সরকার। জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তৈরি শহরের নামী বেসরকারি হাসপাতালগুলিও। কর্তৃপক্ষ বলছেন, যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁরা প্রস্তুত।
রাজ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্তের কোনও খবর নেই। তবে পুরোপুরি প্রস্তুত স্বাস্থ্য দফতর। শুধু সরকারি হাসপাতাল নয়, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও তৈরি থাকতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট গাইডলাইন। কতটা তৈরি শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলি? কর্তৃপক্ষ বলছেন, তাঁদের প্রস্তুতি ফুল প্রুফ। মেডিকা হাসপাতালের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কুণাল সরকার বলেন, এই পরস্থিতির মোকাবিলায় হু-র গাইডলাইন মেনে গোটা হাসপাতালেই চূড়ান্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নার্স থেকে হাসপাতালের সমস্ত স্টাফদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
মেডিকার-ই ইন্টার্নাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যক্ষ অমিতাভ সাহা বলেন, অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে সবার আগে প্রয়োজন সতর্কতা। হু-র গাইডলাইনের প্রতিটি নির্দেশই গুরুত্ব দিয়ে মেনে চলা হচ্ছে। একইভাবে আমরি হাসপাতালের গ্রুপ সিইও রূপক বড়ুয়া জানান, হাসপাতালে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নির্দেশিকা ও কী করণীয় এবং কী করণীয় নয়, তার পোস্টার টাঙানো হয়েছে। আমরা সবরকমভাবে প্রস্তুত। বেলভিউ ক্লিনিকের সিনিয়ন ডেনারেল ম্যানেজার সুরঞ্জন ঘোষ জানান, দুটি আইসোলেশন রুম তৈরি করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্মীদের বিশেষ সতর্কতার জন্য তাঁদেরও নিয়মিত চেকআপ চলছে।
আরও পড়ুন, 'দিল্লিতে কারোর ডেঙ্গি-করোনায় মৃত্যু হয়নি, নজর ঘোরাতেই আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে'
আরও পড়ুন, 'ভুল না শোধরালে হাজার মিটিংয়েও কিচ্ছু হবে না', নেতা-কর্মীদের কড়া দাওয়াই দলনেত্রীর
কলকাতা শহরের অন্যতম স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের প্রাক্তন অধ্যক্ষ চিকিৎসক অমিতাভ নন্দীর পরামর্শ, পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, নিজের সুস্থতা নিজের কাছে। সাধারণ হাঁচি-কাশির সংক্রমণ দেখলেই তাঁকে পৃথকীকরণে রাখা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেওয়া উচিত। হাঁচি, কাশির সংক্রমণে রুমাল ব্যবহার আবশ্যিক। অফিস, ট্রামে, বাসে সর্বত্র কাউকে হাঁচতে দেখলে, তাঁর থেকে কমপক্ষে দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখবেন। ভিড় জমায়েত স্থানে বার বার নিজের হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে তারপরই মুখে দেওয়া উচিত।
কলকাতায় করোনার হানা ঠেকাতে কোমর বেঁধে প্রস্তুত বেসরকারি হাসপাতালগুলি