কে কবে শুনেছে, মুচলেকা দিয়ে রোগী ভর্তি?

গাইনি থেকে সার্জারি। সার্জারি থেকে গাইনি। অসুস্থ রোগী নিয়ে বারবার ছুট। বারবারই হতাশা। ফিরিয়ে দেওয়া ডাক্তারদের। কম করে ছ'বার। শেষপর্যন্ত যদিও বা ভর্তি নেওয়া হল, তা মুচলেকা লিখিয়ে! কলকাতার নামী সরকারি হাসপাতাল দেখাল, অমানবিকতার নয়া নজির। অনেক আশা ছিল। মেয়ে সুস্থ হবে। ভরসা দেবেন, পাশে থাকবেন কলকাতার বড় হাসপাতালের ডাক্তারবাবুরা। কিন্তু কোথায় কী? নরেন্দ্রপুরের বনহুগলির বাসিন্দা মনোয়ারা মণ্ডল পেলেন শুধুই হয়রানি।ওভারিতে সিস্টের সমস্যা নিয়ে গত মঙ্গলবার এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শাহজাদি মণ্ডলকে।জটিল অস্ত্রোপচার দরকার তাঁর, বলেন ডাক্তাররা। তবে এম আর বাঙ্গুরে সেই অস্ত্রোপচার সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।বাঙ্গুর থেকে শাহজাদিকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ন্যাশনাল মেডিক্যালে ইমার্জেন্সির ডাক্তাররা শাহজাদিকে দেখার পর গাইনকোলজি বিভাগে ভর্তির জন্য পাঠিয়ে দেন।কিন্তু গাইনকোলজি বিভাগ থেকে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয়, এটি সার্জারি বিভাগের কেস।

Updated By: Dec 24, 2016, 06:22 PM IST
কে কবে শুনেছে, মুচলেকা দিয়ে রোগী ভর্তি?

ওয়েব ডেস্ক: গাইনি থেকে সার্জারি। সার্জারি থেকে গাইনি। অসুস্থ রোগী নিয়ে বারবার ছুট। বারবারই হতাশা। ফিরিয়ে দেওয়া ডাক্তারদের। কম করে ছ'বার। শেষপর্যন্ত যদিও বা ভর্তি নেওয়া হল, তা মুচলেকা লিখিয়ে! কলকাতার নামী সরকারি হাসপাতাল দেখাল, অমানবিকতার নয়া নজির। অনেক আশা ছিল। মেয়ে সুস্থ হবে। ভরসা দেবেন, পাশে থাকবেন কলকাতার বড় হাসপাতালের ডাক্তারবাবুরা। কিন্তু কোথায় কী? নরেন্দ্রপুরের বনহুগলির বাসিন্দা মনোয়ারা মণ্ডল পেলেন শুধুই হয়রানি।ওভারিতে সিস্টের সমস্যা নিয়ে গত মঙ্গলবার এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শাহজাদি মণ্ডলকে।জটিল অস্ত্রোপচার দরকার তাঁর, বলেন ডাক্তাররা। তবে এম আর বাঙ্গুরে সেই অস্ত্রোপচার সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।বাঙ্গুর থেকে শাহজাদিকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ন্যাশনাল মেডিক্যালে ইমার্জেন্সির ডাক্তাররা শাহজাদিকে দেখার পর গাইনকোলজি বিভাগে ভর্তির জন্য পাঠিয়ে দেন।কিন্তু গাইনকোলজি বিভাগ থেকে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয়, এটি সার্জারি বিভাগের কেস।

আরও পড়ুন ১ বলে ১২ রান করে দিব্যি জিতে গেল ব্যাটিং করতে থাকা দল!

কলকাতার নামী হাসপাতাল। সেখানে তিন ঘণ্টায় ছ-বার শুধু দুই বিভাগের মধ্যে দৌড়নো ছাড়া, আর কিছুই করতে পারেনি অসহায় এই পরিবার। কে কবে শুনেছে, মুচলেকা দিয়ে রোগী ভর্তি? এখানে সেটাও হয়েছে। রোগীর পরিবারকে বাধ্য করা হয় লিখে দিতে যে,ডাক্তারবাবুর কাছে জানলাম আমরা, কোনও মহিলাগত রোগের জন্য নয়, এটা সম্পূর্ণরূপে সার্জারির সমস্যা। তা সত্ত্বেও আমি জোরপূর্বক আমার রোগীকে ভর্তি নিতে বাধ্য করছি। পরবর্তী যে কোনওরকম সমস্যার জন্য আমিই দায়ী হব।  হাসপাতালের টিকিটে লেখানো হয় এই মুচলেকা। মুচলেকা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আবার আজব যুক্তি! রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক হলে নাকি, মুচলেকা লিখিয়েই ভর্তির নিয়ম ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে! এক্ষেত্রে শুধু মুচলেকার বয়ান লেখাতে ভুল করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাফাই সুপারের।কোনও অপারেশনের আগে বন্ডে সই করিয়ে নেওয়ার নিয়ম সবার জানা। কিন্তু সঙ্কটজনক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে মুচলেকা লিখে দিতে হয়, এ সত্যিই নজিরবিহীন। হয়রানি আর কোন পর্যায়ে যাবে? প্রশ্ন ভুক্তভোগী পরিবারের।

আরও পড়ুন  ধূলাগড়ে ঢুকতেই পারল না বিজেপির প্রতিনিধি দল, মাঝপথেই আটকে দিল পুলিস

.