মুখে বিরোধিতা করেও কেন্দ্রের ওপরেই নির্ভরতা অমিতের
গত দুই আর্থিক বছরের মতোই, এবারও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের বাজেটে আয়ের অন্যতম মূল উত্স্য কেন্দ্রীয় অনুদান। কেন্দ্রীয় অনুদান নির্ভরশীল এই বাজেটের ভবিষ্যত নিয়ে সংশয়ে বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের ধারনা পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় অনুদান আর আগের মতো নিশ্চিত নয়। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কমলেই রাজস্ব ঘাটতি আর অর্থমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।
গত দুই আর্থিক বছরের মতোই, এবারও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের বাজেটে আয়ের অন্যতম মূল উত্স্য কেন্দ্রীয় অনুদান। কেন্দ্রীয় অনুদান নির্ভরশীল এই বাজেটের ভবিষ্যত নিয়ে সংশয়ে বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের ধারনা পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় অনুদান আর আগের মতো নিশ্চিত নয়। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কমলেই রাজস্ব ঘাটতি আর অর্থমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।
কেন্দ্রীয় আনুকুল্য পাবেন। এমনটা ধরে নিয়েই বাজেট পেশ করলেন অমিত মিত্র। যদিও, বাজেট বক্তৃতায় একাধিকবার কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হলেন তিনি। ইস্যু সেই একটাই। পশ্চিমবঙ্গকে বিশেষ প্যাকেজ না দেওয়া। কিন্তু, কেন্দ্রীয় বদান্যতা না পেলে আয় ও ব্যায়ের মধ্যে ভারসাম্য কীভাবে আনবেন, তার কোনও সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি। ২০১৩-১৪ আর্থিক বছরে রাজ্য বাজেটের অনেকটাই নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রান্টিং এডের ওপর।
২০১১ ও ১২ ওই খাতে ১৫,৭৯৫ কোটি টাকা পাওয়া যাবে ধরে নিয়ে বাজেট তৈরি করা হয়েছিল। যদিও, আর্থিক বছরের শেষে সেই প্রাপ্তি তিন হাজার কোটি টাকা কমে দাঁড়ায় ১২ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা। ২০১২-১৩ আর্থিক বছরেও গ্রান্টিং এড খাতে ২০ হাজার ২৮২ কোটি টাকা পাওয়া যাবে বলে ধরেছিলেন অমিতবাবু। পাওয়া গেল ১৬,৮৮৪ কোটি টাকা। এবার ২১,৫৯৩ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় আনুকুল্য পাবেন। এমনটা ধরে নিয়েই বাজেট পেশ করলেন অমিত মিত্র। যদিও, বাজেট বক্তৃতায় একাধিকবার কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হলেন তিনি। ইস্যু সেই একটাই। পশ্চিমবঙ্গকে বিশেষ প্যাকেজ না দেওয়া। কিন্তু, কেন্দ্রীয় বদান্যতা না পেলে আয় ও ব্যায়ের মধ্যে ভারসাম্য কীভাবে আনবেন, তার কোনও সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি। দুহাজার তেরো-চোদ্দ আর্থিক বছরে রাজ্য বাজেটের অনেকটাই নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রান্টিং এডের ওপর।
২০১১-১২`তে ওই খাতে ১৫ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা পাওয়া যাবে ধরে নিয়ে বাজেট তৈরি করা হয়েছিল। যদিও, আর্থিক বছরের শেষে সেই প্রাপ্তি তিন হাজার কোটি টাকা কমে দাঁড়ায় ১২ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা। ২০১২-১৩ আর্থিক বছরেও গ্রান্টিং এড খাতে ২০ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা পাওয়া যাবে বলে ধরেছিলেন অমিতবাবু। পাওয়া গেল ১৬ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা। এবার ২১ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা গ্রান্টিং এড পাওয়া যাবে বলে ধরে নিয়েছেন অমিতবাবু।
তাই কথায় কথায় কেন্দ্রের বিরোধিতা করলেও, মনমোহন-চিদম্বরমের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে আছে অমিত মিত্রের এবারের বাজেটের ভবিষ্যত। গ্রান্টিং এড খাতে আদৌ উদ্বৃত্ত পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজ্য সরকার পাবে কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সংশয় রয়েছে।
২০১৩-১৪ আর্থিক বছরে রাজস্ব ঘাটতি ৩ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা হবে বলে দেখিয়েছেন অমিতবাবু। গত আর্থিক বছরের তুলনায় এই পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা কম।
এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারলে অমিতবাবু একধাক্কায় রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ, প্রায় সত্তর শতাংশ কমাতে সক্ষম হবেন। কিন্তু, সেখানেও সংশয় থেকেই যাচ্ছে। কারণ রাজস্ব আয়ের মধ্যে রাজ্যের আদায়ী কর ও কর বহির্ভুত আয় ছাড়া দুটি বড় বিষয়ই হল, কেন্দ্রীয় কর ও শুল্ক বাবদ প্রাপ্য রাজ্যের অংশ। ও কেন্দ্রীয় গ্রান্টিং এড। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কমে গেলেই রাজস্ব ঘাটতি আর অমিত মিত্রের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।