রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ডের ছায়া, দিদির দেহ আগলে বোন
আনন্দপুরের আবাসন থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার করল পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া আনন্দপুরের আবাসনে। দিদির দেহ আগলে রেখেছিলেন বোন। স্থানীয়রা খবর দেওয়ার পর দেহ উদ্ধার করে পুলিস।
বাবার মৃত্যুর পর আনন্দপুরের আবাসনে থাকতেন তিন বোন। দুবছর আগে দিদি মারা যান। তখন ওই আবাসন থেকেই দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিস। তারপর থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন বোনকে নিয়ে থাকতেন পুতুল বসাক। বাবার মৃত্যুর পর প্রায় পথে বসেছিল পরিবারটি। ঠিকমতো খাবার জুটত না। প্রতিবেশীদের কাছে চেয়েচিন্তেই দিনযাপন হত। রবিবার আবাসন থেকে দুর্গন্ধ আসায় পুলিসে খবর দেন পড়শিরা। উদ্ধার করা হয় পুতুল বসাকের পচাগলা দেহ। দিদির দেহ আগলে পড়েছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন বোন।
আরও পড়ুন- সময়ে ট্রেন চালানো সম্ভব নয়, স্পষ্ট করলেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান
পুলিস সূত্রের খবর, অপুষ্টিতে ভুগছিলেন পুতুল বসাক। আবাসিকদের দাবি, বাবার মৃত্যুর পর তিন বোনের খাবার জুটত না। আবাসনের লোকজনই তাঁদের খাবার দিতেন। এনিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছেও আবেদন করেছেন তাঁরা। তবে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। রবিবারের ঘটনার পরই চোখ খুলেছে স্থানীয় প্রশাসনের। ছোট বোনকে পাঠানো হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। প্রশাসন আর একটু তত্পর হলেই বাঁচানো যেত দুটি প্রাণ, আক্ষেপ পড়শিদের।