DYFI Insaf Sabha: এফআইআর করা শিখিয়ে দেব, বাম ছাত্রযুব-র ইনসাফ সভায় পুলিসকে হুঁশিয়ারি সেলিমের
মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের কথা সত্যি করে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাতার কাতারে এসএফআই-ডিওয়াইএফআই সমর্থকরা এসে জড়ো হন ধর্মতলায়। সেই ভিড়ের চাপে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ধর্মতলা চত্বর
মৌমিতা চক্রবর্তী: বাম ছাত্র-যুবদের ইনসাফ সভা-য় জনসমুদ্র। এককথায় লাল পতাকায় লাল গোটা চৌরঙ্গী চত্বর। ছাত্রনেতা আনিস খান ও অন্যান্য বাম ছাত্র নেতাদের মৃত্যুতে ইনসাফ-সহ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত দোষীদের শাস্তির দাবিতে ওই সভা হওয়ার কথা ছিল ওয়াই চ্যানেলে। কিন্তু সভায় বিপুল মানুষজন আসতে থাকায় ওই সভা সরিয়ে আনা হয় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে। শেষপর্যন্ত সভা হল ধর্মতলা মোড়েই। ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের কথা সত্যি করে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাতার কাতারে এসএফআই-ডিওয়াইএফআই সমর্থকরা এসে জড়ো হন ধর্মতলায়। সেই ভিড়ের চাপে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ধর্মতলা চত্বর।
আরও পড়ুন-Cow Smuggling: সায়গল হোসেনকে এবার দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা! আসানসোলের আদালতে ইডি
ওই সভায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, পরিবর্তনের নামে আজ গুন্ডাদের রাজত্ব চলছে। লুঠতন্ত্র চলছে। পুলিসকে বলছি জাগ্রত জনতার সমানে পুলিসের কোনও জোরাজুরি চলবে না। এটা মনে থাকে যেন। পুলিস বলেছিল ধর্মতলাতে সভা করতে দেবে না। আর আমাদের ছাত্র যুবরা বলেছিল আমরা ইনসাফ সভা করবই। ইনসাফের লহর উঠেছে। অনুব্রত, অভিষেক গোরু চোর, কয়লা চোরদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার জন্য এই সভা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপদে পড়লেই মোদীজির বন্দনা করেন। সরাসরি আত্মসম্পর্ন করেন। আমরা মাথা নোয়াই না। কলকাতা পুলিসকে বলব, আমরা তো একটা দিকই চেয়েছিলাম। এবার আপনারা ঠেলা সামলান। ন্যায় চাইতে আজ আমরা রাজপথে। শিক্ষাকে বাঁচাতে লড়াই চলবে। কালীঘাট পর্যন্ত এই আওয়াজ যাক। এই বাংলা দালাল, সাম্প্রদায়িক, চোর জোচ্চর, ডাকাতদের জন্য নয়। আমাদের ছেলেমেয়েদের গাড়ি চাপা দিয়ে মেরেছে। পুলিস কোনও অভিযোগ নেয়নি। আনিস খানকে খুন করেছে। কোনও অভিযোগ নেয়নি। হাঁসখালিতে খুনের ঘটনায় নিহতের বাড়ির লোকজনকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। আজ আনিস খানের বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হচ্ছে। পুলিসকে বলছি, কীভাবে এফআইআর লিখতে হয়ে তা আমরা শিখিয়ে দেব।
রাজ্যে তৃণমূল সরকারের কথা বলতে গিয়ে সেলিম বলেন, শ্রীলঙ্কায় বেকার ছেলেমেয়েরা চাকরির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে ধরনা দিচ্ছিল। তাদের উপরে গুলি চালিয়ে দিয়েছিল সেখানকার পুলিস। সেখানকার রাষ্ট্রপতিকে লোকজন গিয়ে পাড়াছাড়া করে দিয়েছে। পুলিস তো সেখানে ছিল। এখন দেখি অভিষেকের বাড়ির সামনে পুলিসের সাঁজেয়া গাড়ি পাহারা দিচ্ছে। ইডি আসার ভয়ে রাস্তার অর্ধেক ঘিরে রেখে দিয়েছিল। তখন ট্রাফিক জ্যামের কথা মনে পড়ে না?