Anubrata Mandal: অনুব্রত তিহাড়ে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেষ্টকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত মমতার
Anubrata Mandal: নিয়োগ দুর্নীতিতে দলের একের পর এক নেতা জেলে গিয়েছেন। এমনকি মলয় ঘটককেও তলব করেছে ইডি। এরপরেও দল কেন অনুব্রতকে ঝেড়ে ফেলছে না তা নিয়ে জল্পনা থাকবেই। এনিয়ে এবার সরব হল বিজেপি। দলের নেতা শমীক ভট্টাচার্য এনিয়ে বলেন, এটাই হওয়ার ছিল
প্রবীর চক্রবর্তী: অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার পর বীরভূমে তৃণমূলের কী হবে তা নিয়ে রাজনৈতির জল্পনা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেল যাওয়ার পর তাঁকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু কেষ্টর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে একেবার উল্টো। অনুব্রত মণ্ডলকে দল সাসপেন্ড করেনি। বরং এবার পঞ্চায়েত ভোটে অনুব্রতর উপরেই আস্থা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি থাকছেন অনুব্রত মণ্ডলই।
আরও পড়ুন-'ভারতীয় গণতন্ত্রে এক নতুন নীচতা', রাহুলের সংসদ পদ খারিজে মুখ খুললেন মমতা
বীরভূমে সংগঠনের রাশ মমতা হতেই থাকছে। তবে দল পরিচালনা করবে দলের কোর কমিটি। বীরভূমে বাড়তি দায়িত্বে থাকছেন ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটক, নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেষ্টতেই আস্থা রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রায় তিনশো জন প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে অনেকেই মনে করেছিলেন এবার হয়তো বীরভূমে নতুন কোনও জেলা সভাপতির নাম ঘোষণা করা হতে পারে। কিন্তু দেখা যায় জেলা সভাপতি হিসেবে অন্য কারও নাম ঘোষণা করা হল না। অর্থাত্ অনুব্রত মণ্ডলকেই জেলা সভাপতি করে রাখা হল। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও বলেছেন অনুব্রতই বীরভূমের সভাপতি থাকছেন।
নিয়োগ দুর্নীতিতে দলের একের পর এক নেতা জেলে গিয়েছেন। এমনকি মলয় ঘটককেও তলব করেছে ইডি। এরপরেও দল কেন অনুব্রতকে ঝেড়ে ফেলছে না তা নিয়ে জল্পনা থাকবেই। এনিয়ে এবার সরব হল বিজেপি। দলের নেতা শমীক ভট্টাচার্য এনিয়ে বলেন, এটাই হওয়ার ছিল। এর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু নেই। কারণ অনুব্রতই তৃণমূল কংগ্রেস, তৃণমূলই হল অনুব্রত। এরকমই ওদের সংস্কৃতি। তিনি যা করেছেন তা পার্টির নির্দেশেই করেছেন। পার্টির অনুমোদনে করেছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিংবা অনুব্রত মণ্ডলের থেকে দল নিজেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।
এদিকে, আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শুভেন্দু অধিকারির মহাজোট নিয়ে মনত্ব্য প্রসঙ্গে চন্দ্রিম ভট্টাচার্য বলেন, এটা হল বিরোধীদের রাজনৈতিক দীনতা। একা সিপিএম এই সরকারকে হঠাতে পারবে না। একা কংগ্রেস হঠাতে পারবে না। একা শুভেন্দু অধিকারী অর্থাত্ বিজেপি হঠাতে পারবে না। অর্থাত্ এটা মেনে নেওয়া হল তিনটে রাজনৈতিক দলকে হাত মেলাতে হচ্ছে। কার বিরুদ্ধে? একলা একজন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যিনি নিজেকে অবিসংবাদী নেতা হিসেব নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁকে সামাল দিতেই তাবড় নেতাদের হাত মেলাতে হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ওঁর বিরুদ্ধে একমাত্র নারদ মামলাতেই প্রমাণ রয়েছে। আর কোনও কেসে প্রমাণ নেই। এনিয়ে চন্দ্রিমা বলেন, উনি তো নিজেই বলে দিয়েছেন। এটা আমাদের দলের থেকে ট্যুইটও করা হয়েছে। উনি বলে দিয়েছেন, উনি একটি দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছেন। তাহলে এবার তাঁর দলকে এনিয়ে ভাবতে হবে।