Rahul Gandhi Disqualified: 'ভারতীয় গণতন্ত্রে এক নতুন নীচতা', রাহুলের সংসদ পদ খারিজে মুখ খুললেন মমতা
Rahul Gandhi Disqualified:রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ চলে যাওয়ার পরই ট্যুইট করেছেন মমতা। তৃণমূল নেত্রী লিখেছেন, মোদীর নতুন ভারতে বিরোধী নেতারাই কি বিজেপির টার্গেট হয়ে গেল! বিজেপির অনেক নেতার বিরদ্ধেই ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। তারা এখন সংসদে রয়েছেন
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাংসদ পদ হারালেন রাহুল গান্ধী। বিরাট এই ধাক্কা কংগ্রেস কীভাবে সামলাবে তা সময়ই বলবে। তবে রাহুলের সাংসদ পদ চলে যাওয়ায় খানিকটা আতঙ্কিত বিরোধী শিবির। ২০১৯ সালের এক মানহানির মামলায় ২ বছরের জেল হয়েছে রাহুলের। তারপরই তার লোকসভায় সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায়। মোদীর পদবি সংক্রান্ত এক মন্তব্য করায় তাঁকে ওই সাজা দিয়েছে সুরাটের আদালত। এনিয়ে কংগ্রেস ঝুঁকবে না বললেও তীব্র নিন্দা করেছে বিরোধী শিবিব। মুখ খুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক মনু সিংভি, অধীর চৌধুরীরা।
আরও পড়ুন- রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ খারিজ, এবার কী করবেন তিনি...
রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ চলে যাওয়ার পরই ট্যুইট করেছেন মমতা। তৃণমূল নেত্রী লিখেছেন, মোদীর নতুন ভারতে বিরোধী নেতারাই কি বিজেপির টার্গেট হয়ে গেল! বিজেপির অনেক নেতার বিরদ্ধেই ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। তারা এখন সংসদে রয়েছেন। বক্তব্য রাখার জন্য বিরোধী নেতাদের সাংসদ পদ চলে যাচ্ছে। গণতন্ত্র আজ নতুন নীচতা ছুঁয়ে ফেলল। অন্যদিকে, রাহুলের সাংসদ পদ চলে যাওয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, গণতান্ত্রিক ভারত এক সোনার পাথরবাটি মাত্র। গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে।
In PM Modi’s New India, Opposition leaders have become the prime target of BJP!
While BJP leaders with criminal antecedents are inducted into the cabinet, Opposition leaders are disqualified for their speeches.
Today, we have witnessed a new low for our constitutional democracy
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) March 24, 2023
DEMOCRATIC INDIA is an OXYMORON Now. #ripdemocracy
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) March 24, 2023
দলের সাংসদের সাংসদ পদ চলে যাওয়ায় কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেন, কর্ণাটকে কল্যাণে ওই মন্তব্য করেন রাহুল। তাহলে সেকানেই অভিযোগ আনা উচিত ছিল। তা করা হয়নি। এক্ষেত্রে সুরাটের আদালতের এক্তিয়ার রয়েছে কিনা তা পর্যালোচনার বিষয়।
অখিলেশ যাদব এনিয়ে বলেন, কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় নেতার আজ সদস্যপদ চলে গিয়েছে। এভাবে বিচার করল বিজেপির বহু নেতার সাংসদপদথ থাকবে না। দেশের আসল যে সব ইস্যু রয়েছে তা থেকে নজর অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতেই এসব করা হয়েছে। এই সরকারের বন্ধু যেসব শিলপ্পতি দেশের পয়সা ডুবিয়েছেন তাদের নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না।
কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, বারবার একটা কথা ওঠে এত চোরদের মধ্যে কেন মোদী পদবিটা বারবার এসে যায়। এরকম কথা বললে ২ বছর সাজা হওয়া জরুরি ছিল? পরিকল্পিতভাবে ২ বছর সাজা দেওয়া হয়েছে কারণ কারও সদস্যপদ খারিজ করতে গেলে দেখাতে হবে কেউ ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত। তাই ২ বছর সাজা দেওয়া হয়েছে। বুঝতে হবে এটা কতবড় প্রতিহিংসার রাজনীতি।