বউবাজারে অনশন-বিক্ষোভে এপিডিআর

মেট্রো চ্যানেলে এপিডিআরের সভার অনুমতি বাতিল করা হলেও বিকল্প কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগই তুলল এপিডিআর।

Updated By: Nov 23, 2011, 10:46 AM IST

তৃণমূল সরকারে আসার পর থেকে যৌথবাহিনী প্রত্যাহার, বন্দিমুক্তির মতো ইস্যুতে প্রশাসনের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষেত্রে মতবিরোধ দেখা দিচ্ছিল এপিডিআর-এর। এবার সভা বিতর্কের জেরে তা রীতিমতো সংঘাতের চেহারা নিল। শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলল এপিডিআর। বিরোধী দলনেত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান পাল্টে গেছে বলে সরব হল তাঁরই এক সময়ের আন্দোলনের সহযোগীরা। বুধবার বউবাজারে বন্দিমুক্তি ও যৌথবাহিনী প্রত্যাহারের দাবিতে দুদিনের অনশন আন্দোলন শুরু করেছে এপিডিআর। সেই মঞ্চ থেকেই এই অভিযোগ তোলা হল। সেইসঙ্গে ওই মানবাধিকার সংগঠনের অভিযোগ, মেট্রো চ্যানেলে সভার অনুমতি বাতিল করলেও বিকল্প কোনও জায়গার প্রস্তাব দেয়নি প্রশাসন।
এপিডিআর-এর দাবি, গত ৪ নভেম্বর তারা কলকাতা পুলিসের যুগ্ম কমিশনারের কাছে মেট্রো চ্যানেলে ২৩ থেকে ২৫ নভেম্বর অনশন অবস্থানের জন্য অনুমতি চায়। কিন্তু যুগ্ম  কমিশনার জানিয়ে দেন, ২৫ নভেম্বর অন্য সংগঠনের কর্মসূচি থাকায় ওইদিন অনুমতি দেওয়া যাবে না। চিঠিতে তিনদিনের জায়গায় দুদিনের অনুমতি দেওয়া হয়। সংশোধিত চিঠির নীচে রিসিভড লিখে দিয়ে দেওয়া হয়। বহুদিনের পুলিসি প্রথা অনুযায়ী রিসিভড কথার অর্থ অনুমতি। অনুমতি পাওয়ার পরই অনুষ্ঠানের পোস্টার ছাপায় এপিডিআর। পোস্টারে অনুষ্ঠানস্থল হিসেবে মেট্রো চ্যানালের নাম রাখা হয়।
 কিন্তু এর দিনকয়েকের মধ্যেই পরিস্থিতি আমূল বদলে যায়। ৪ নভেম্বরের অনুমতি, ১৭ নভেম্বরের একটি চিঠিতে বাতিল করে দেওয়া হয়। চিঠিতে অনুষ্ঠান বাতিলের বিষয়টি স্পষ্ট কোনও বিকল্প জায়গায় কথা বলা হয়নি। ১৭ নভেম্বর এপিডিআর যুগ্ম কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এপিডিআর জানিয়েছে এরপর একপ্রকার বাধ্য হয়েই অন্যত্র সভা করার উদ্যোগ নেয় তারা। মুচিপাড়া থানায় ১৭ নভেম্বর আবেদন জানায় মানবাধিকার সংগঠন। ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পাশে, বি বি গাঙ্গুলীর মূর্তির ডানদিকে অবস্থান কর্মসূচির কথা জানায়। এক্ষেত্রেও চিঠির ওপরে রিসিভড লিখে দিয়ে দেওয়া হয়। যা অনুমতি হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় বুধবার বউবাজারে অনশন কর্মসূচি শুরু করেছে এপিডিআর। কর্মসূচির প্রথম দিনই তৃণমূলের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ এনে সুর চড়া করল মানবাধিকার সংগঠন।  

.