বিধাননগরের মেয়র পদপ্রার্থীর প্রস্তাব ফেরালেন অসীম দাশগুপ্ত
অশোক ভট্টাচার্য পেরেছেন। পারলেন না অসীম দাশগুপ্ত। মেয়র পদপ্রার্থী অশোক ভট্টাচার্যের চোয়াল চাপা লড়াইয়ে শিলিগুড়ি পুরনিগম দখল করেছে বামেরা। একই মডেল প্রয়োগের ভাবনা ছিল বিধাননগরেও। কিন্তু, মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।
ব্যুরো: অশোক ভট্টাচার্য পেরেছেন। পারলেন না অসীম দাশগুপ্ত। মেয়র পদপ্রার্থী অশোক ভট্টাচার্যের চোয়াল চাপা লড়াইয়ে শিলিগুড়ি পুরনিগম দখল করেছে বামেরা। একই মডেল প্রয়োগের ভাবনা ছিল বিধাননগরেও। কিন্তু, মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।
বাম শিবিরে প্রথম অক্সিজেন এই ফুটেজ। ২০০৮ থেকে টানা হারতে হারতে, শিলিগুড়ি পুরনিগমেই প্রথম ঘুরে দাঁড়ায় বামশক্তি। বিধাননগরে একই মডেল প্রয়োগের ভাবনা ছিল। লড়াইয়ের মুখ হিসেবে ভাবা হয় সল্টলেকেরই বাসিন্দা অসীম দাশগুপ্তকে। কেন তিনি? এর পিছনেও সুচিন্তিত অঙ্ক। আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর,
অসীম দাশগুপ্তর ভাবমূর্তি স্বচ্ছ, তিনি উচ্চশিক্ষিত এবং দীর্ঘদিন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ছিলেন।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ডিগ্রিধারী অসীম দাশগুপ্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলেও অর্থনীতিবিদ হিসেবে সুপরিচিত
রাজারহাট-গোপালপুর ও বিধাননগর পুরসভার শিক্ষিত মধ্যবিত্ত ভোটব্যাঙ্কের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারতেন অসীম দাশগুপ্ত
শুধু অসীম দাশগুপ্তের প্লাস নয়, তৃণমূলের মাইনাসকে কাজে লাগাতেও ভাবা হয়েছিল প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর নাম।
রাজারহাট-গোপালপুর এবং বিধাননগরে শাসকদলের সিন্ডিকেট রাজ নিয়ে তিতিবিরক্ত মানুষ
ইট-বালি-সিমেন্ট ব্যবসার দখল নিয়ে নেতামন্ত্রীদের খেয়োখেয়ি জনমানসে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে
নতুন পুরনিগমে মেয়র কে হবেন, তা নিয়েও দড়ি টানাটানি চলছে সব্যসাচী দত্ত ও কৃষ্ণা চক্রবর্তীর মধ্যে।
মেয়র পদে নিজের গোষ্ঠীর লোক বসাতে মরিয়া সুজিত বসু, পূর্ণেন্দু বসু এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদারও
এই সাড়ে বত্রিশভাজা পরিস্থিতিতে, ভোটারদের সামনে একটি গ্রহণযোগ্য মুখ তুলে ধরার ভাবনা ছিল বাম শিবিরের। আলিমুদ্দিনকে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সিপিএম তাই মেয়র পদে অসীম দাশগুপ্তের নামই প্রস্তাব করে। প্রস্তাব পাসও হয়। কিন্তু, বাধ সেধেছেন খোদ অসীম দাশগুপ্ত। মেয়র পদপ্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।