জমিনীতি পুনর্বিবেচনার দাবি অ্যাসোচেম-এর
নতুন জমিনীতির নিরিখে রাজ্যে শিল্পায়নের ভবিষ্যত্ ঘিরে এবার সরাসরি প্রশ্ন তুলল সর্বভারতীয় বণিকসভা অ্যাসোসিয়েশন অব চেম্বার অব কর্মার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। জমিনীতি পুনর্বিবেচনার দাবিও জানিয়েছে অ্যাসোচেম।
নতুন জমিনীতির নিরিখে রাজ্যে শিল্পায়নের ভবিষ্যত্ নিয়ে এবার সরাসরি প্রশ্ন তুলল শিল্পপতিদের সর্বভারতীয় সংগঠন অ্যাসোচেম। জমিনীতি পুনর্বিবেচনারও দাবি জানানো হয়েছে। অ্যাসোসিয়েটেড চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের আশঙ্কা, চলতি জমিনীতি অনুযায়ী রাজ্যে শিল্পায়ন অসম্ভব। জমি অধিগ্রহণে সরকারের প্রত্যক্ষ ভূমিকার পক্ষেও সওয়াল করেছে অ্যাসোচেম। শিল্পের জন্য এক ছটাকও জমি নেবে না সরকার। সরাসরি জমি কিনতে হবে বিনিয়োগকারীকেই। সরকারের জমিনীতিতে স্পষ্টভাবে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই জমিনীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে শিল্পমহল। তাদের আশঙ্কা, সরাসরি জমি কিনতে গেলে সরকারের অনুপস্থিতির সুযোগে জমি দালালদের দৌরাত্ম্য বাড়বে। রাজ্যে জমির মালিকানা ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত থাকার কারণে বিনিয়োগকারীর পক্ষে সবার সঙ্গে কথা বলে জমি কেনা অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সরকার জমির দাম নির্ধারণ না করলে জমিদাতারা ইচ্ছেমতো জমির দাম চাইতে পারেন। এতদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একান্তে জানানো এইসব উদ্বেগ নিয়ে এবার প্রকাশ্যে মুখ খুলল শিল্পপতিদের সর্বভারতীয় সংগঠন অ্যাসোচেম। তাদের আশঙ্কা, চলতি জমিনীতি মাথায় রেখে রাজ্যে শিল্পায়ন অসম্ভব। অবিলম্বে তা পুনর্বিবেচনার দাবি রেখে জমি অধিগ্রহণে সরকারের প্রত্যক্ষ ভূমিকার পক্ষে সওয়াল করল অ্যাসোচেম। একই সঙ্গে তাদের দাবি, রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে এসইজেড বা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার অনুমতি দিক রাজ্য সরকার। না হলে বিনিয়োগ টানার প্রতিযোগিতার বাজারে পিছিয়ে পড়বে পশ্চিমবঙ্গ। একই সঙ্গে শিল্পায়নের গতিকে ত্বরাণ্বিত করতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৈরি হওয়া কোর কমিটির প্রসঙ্গিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বণিকসভাগুলির মধ্যে। তাদের অভিযোগ, কোর কমিটির বৈঠকে গঠনমূলক কিছু হচ্ছে না। ঘুরেফিরে আসছে সেই জমি প্রসঙ্গই। আর এই জমি প্রসঙ্গেই কার্যত ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করছে রাজ্য সরকার এবং শিল্পমহল। এই ভিন্নসুরই উঠে এল অ্যাসেচেমের বক্তব্যেও।