খবর করতে গিয়ে Zee 24 Ghantaর ওপর হামলা, ক্যামেরা, চিপ ছিনিয়ে বেধড়ক মার সাংবাদিক-চিত্রসাংবাদিককে
২৪ ঘণ্টার ক্যামেরাও ছিনতাই করে নেওয়া হয়। কেড়ে নেওয়া হয়েছে চিপও। পরে চাপের মুখে পড়ে ভাঙা ক্যামেরা ফেরত দেয় অভিযুক্তরা। যদিও এখনও চিপ ফেরত দেওয়া হয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোট বঙ্গে পারদ তুঙ্গে। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্র চেতলা। রাখালদাস আঢ্য রোড ও চেতলা সেন্ট্রাল রোডের সংযোগস্থলে ধুন্ধুমার। গতকাল রাতে সেই খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে জি চব্বিশ ঘণ্টা। সাংবাদিক-চিত্র সাংবাদিককে বেধড়ক মারধর করে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী।
২৪ ঘণ্টার ক্যামেরাও ছিনতাই করে নেওয়া হয়। কেড়ে নেওয়া হয়েছে চিপও। পরে চাপের মুখে পরে ভাঙা ক্যামেরা ফেরত দেয় অভিযুক্তরা। যদিও এখনও চিপ ফেরত দেওয়া হয়নি। অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদেরও মারধর করা হয়েছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, যুবক চেতলা ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের যুব প্রেসিডেন্ট পিটার মুখোপাধ্যায়। ওর ছেলেরাই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। তবে FIR দায়ের হলেও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। উল্লেখ্য, ঘটনায় পুলিসের কোনও অগ্রগতি নজরে পড়েনি। ঘটনার পরদিনও কোনও পুলিসি তৎপরতা চোখে পড়নি। এমনকি এলাকাতেও কোনও পুলিসি প্রহরা দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: বালিগঞ্জে যান্ত্রিক বিভ্রাট, শিয়ালদহগামী ট্রেন চলাচল ব্যাহত
পাশাপাশি নিন্দার ঝড় উঠছে রাজনৈতিক মহলেও। ঘটনা প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ' যেই করেছে অন্যায় করেছে। ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি যেই রাজনৈতিক দলেরই হোক না কেন, তাঁকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তিরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে ববি হাকিমের দাবি, 'এই এলাকায় বিজেপির কোনও লোক নেই। বাইরে থেকে বহিরাগত লোক এনে হামলা করিয়েছে বিজেপি।'
এ দিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। 'হার জেনেই আক্রমণাত্মক শাসক দল।' চেতলাকাণ্ডে তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের। সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলার নিন্দা করেছেন কুণাল ঘোষও। বিজেপির মুখে হামলা নিয়ে কোনও কথা শোভা পায় না। পাল্টা আক্রমণ তৃণমূল মুখপাত্রের।