কলকাতায় ডাক্তার দেখাতে এসে খুন? এন্টালির রেল আবাসনে বিহারের যুবতীর রক্তাক্ত দেহ!
রক্তাক্ত অবস্থায় কোয়ার্টার থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় অঞ্জলি কুমারীকে। পারিবারিক বিবাদ থেকেও খুন হয়ে থাকতে বলে অনুমান পুলিসের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সল্টলেকে বন্ধ ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধারের পর এবার এন্টালিতে মিলল যুবতীর রক্তাক্ত দেহ। মৃতার নাম অঞ্জলি কুমারী। বয়স ১৮ বছর। মৃত যুবতী বিহারের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, চিকিৎসা করাতে বিহার থেকে কলকাতায় এসেছিলেন ওই যুবতী। যুবতীর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিস। তবে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পরিষ্কার কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা ছড়িয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে অনুমান পুলিসের।
শিয়ালদা স্টেশন থেকে বেলেঘাটা মেইন রোডমুখী রাস্তার ধার ঘেঁষে থাকা একটি রেল কোয়ার্টার থেকেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় অঞ্জলি কুমারী। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধারের পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, ওই কোয়ার্টারে ছোটু বলে একজন মহিলা থাকতেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সোমবার সকালে ওই কোয়ার্টারে একজন মহিলা আসেন। চিত্তরঞ্জন কুমার নামে এক যুবকের সঙ্গে তখনই আসেন অঞ্জলি কুমারী। পুলিসি জেরায় এই চিত্তরঞ্জন কুমার জানিয়েছেন, অঞ্জলি কুমারী সম্পর্কে তাঁর সিস্টার-ইন-ল' হন। কলকাতায় ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসেছিলেন তিনি।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, অঞ্জলিকে নিয়ে চিত্তরঞ্জন ছোটুর কোয়ার্টারে আসার কিছু পর আরও কয়েকজন লোকও আসেন। তখন ওই ছোটু নামক মহিলা প্রতিবেশীদের জানান যে, তাঁর গ্রাম থেকে লোকেরা এসেছেন। প্রসঙ্গত, বিহারের মধুবনে থাকতেন ছোটু। এর কিছু পরই রক্তাক্ত অবস্থায় ওই কোয়ার্টার থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় অঞ্জলি কুমারীকে। কিন্তু কোনও অশান্তি, চিৎকার চেঁচামেচির কোনও আওয়াজ-ই নাকি পাননি প্রতিবেশীরা। এমনটাই বলছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন, Saltlake: ফ্ল্যাটের খোলা জানলা দিয়ে ভনভনিয়ে ঢুকছে মাছি, দরজা ভাঙতেই মিলল যুবকের পচাগলা দেহ!
আর সেখানেই দানা বেঁধেছে। ঘিঞ্জি এলাকা, গায়ে গায়ে ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকা বাড়ি, সেখানে কী করে এটা সম্ভব হল? ইতিমধ্যেই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। মূল সন্দেহভাজন ৩ জন ফেরার। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস। অন্যদিকে ছোটুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট নয় পুলিস। পারিবারিক বিবাদ থেকেও খুন হয়ে থাকতে বলে অনুমান পুলিসের।