'ঐতিহাসিক মিলন', সরকারি বিজ্ঞাপনে সিধো-কানহোর সঙ্গেই সাঁওতাল বিদ্রোহের শহীদ বিরসা মুণ্ডাও!
ফের মেলালেন তিনি মেলালেন। এবার হুল দিবসে সাঁওতাল বিদ্রোহের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সরকারি বিজ্ঞাপনে সিধো-কানহোর সঙ্গে একই সঙ্গে ঠাঁই পেলেন ১৮৯৯ সালের উলগুলান আন্দোলনের নেতা বিরসা মুণ্ডা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে এই বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ।
ওয়েব ডেস্ক: ফের মেলালেন তিনি মেলালেন। এবার হুল দিবসে সাঁওতাল বিদ্রোহের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সরকারি বিজ্ঞাপনে সিধো-কানহোর সঙ্গে একই সঙ্গে ঠাঁই পেলেন ১৮৯৯ সালের উলগুলান আন্দোলনের নেতা বিরসা মুণ্ডা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে এই বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ।
সিপাহী বিদ্রোহেরও দু'বছর আগে ১৮৫৫ সালে সিধো-কানহোর নেতৃত্বে সাওতাঁল বা হুল বিদ্রোহ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ শক্তির বিরুদ্ধে প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম বলে পরিচিত। অন্যদিকে, বিরসা মুণ্ডা জন্মগ্রহণ করে ছিলেন এর ঠিক ২০ বছর পর, ১৮৭৫ সালে।
সরকারি বিজ্ঞাপনে ১৮৯৯ সালের উলগুলান আন্দোলনের নায়ক বিরসা মুন্ডাকে ১৮৫৫ সালের হুল আন্দোলনের শহীদ বানিয়ে দেওয়া হল। সাঁওতাল বিদ্রোহ আর মুন্ডাদের বিদ্রোহকে কে একাকার করে দেওয়া হল।
তবে, এই প্রথম নয়, এই 'মিলন'-এর চেষ্টা পশ্চিমবঙ্গে এখন নয়া ট্রেন্ড। এর আগেই ইতিহাসের সাল পঞ্জীকে তোয়াক্কা না একই সঙ্গে এক টাইম ফ্রেমে বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিকে নিয়ে এসেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, কিটস ও শেক্সপিয়রকে বিলেতের মাটিতে সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করিয়ে ছিলেন মমতা। রবীন্দ্রনাথের হাতে ফলের রস খেয়ে গান্ধীজীর অনশনভঙ্গের 'ঐতিহাসিক তথ্য'-ও খাড়া করেছেন তিনি। বিধানসভায় সতীদাহ আইন 'পাস' করিয়েছেন। খোঁজ করেছেন 'ডহর বাবুর' পরিবারের।
সেই একই 'ঐতিহ্য' মেনে হুল দিবসে সরকারি বিজ্ঞাপনে একই সঙ্গে সিধো-কানহোর সঙ্গে বিরসা মুণ্ডাকেও স্মরণ বুঝিয়ে দিল মুখ্যমন্ত্রীর মতই তাঁর সরকারও ইতিহাসের টাইমফ্রেমকে বুড়ো আঙুল দেখাতে সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠছে।