শিল্পমেলা থেকে কত টাকার বিনিয়োগ এসেছে?: মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শ্বেতপত্রের দাবি মুকুলের
বেকারদের কাছে 'চাকরির প্রতিশ্রুতি' কার্ড পৌঁছে দেবে বিজেপি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'বাংলায় ৯টি বাণিজ্য মেলা হয়েছে। এই মেলা করতে কত খরচ হয়েছে? রাজ্যে কত টাকার বিনিয়োগ এসেছে?' মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানালেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি বলেন, 'সিঙ্গুরে টাটাদের কারখানা করতে না দেওয়া বড় ভুল। এরফলে যারা শিল্প করে, যারা শিল্প করতে আসবে, তারা আরও বেশি করে বাংলায় আসেনি।'
আরও পড়ুন: নজরে একুশে বিধানসভা ভোট, সোমবার উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রথমে 'দুয়ারে সরকার', তারপর 'বঙ্গধ্বনি যাত্রা'। একুশে ভোটের কথা মাথায় রেখে যখন একে এক কর্মসূচি নিচ্ছে তৃণমূল, তখন চুপ করে বসে নেই বিজেপিও। কলকাতায় দলের সদর দফতর থেকে শুরু হল 'চাকরির প্রতিশ্রুতি কার্ড' বিলি কর্মসূচি। যুব মোর্চার তরফে রাজ্যের ৭৫ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতীর হাতে তুলে দেওয়া হবে এই কার্ড। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মুকুল রায় বলেন, 'বাংলায় কর্মসংস্থানের সুযোগ কমেছে। কিছু কর্মসংস্থান হচ্ছে, কিন্তু তা অত্যন্ত নিম্নমানের। মুখ্যমন্ত্রী একাধিক বাণিজ্য সম্মেলন করেছেন। কিন্তু তাও বিনিয়োগ আসছে না।' কেন? মুকুলের অভিযোগ, 'বাংলায় এখন সিন্ডিকেটরাজের বাড়বাড়ন্ত। সিন্ডিকেটের আতঙ্কে বাংলায় কেউ বিনিয়োগ করতে আসছে না। রাজ্যে ৯টি বাণিজ্য মেলা করেছেন। এই মেলা করতে কত খরচ হয়েছে? বিনিময়ে কত টাকার বিনিময় এসেছে? তা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে জানান মুখ্যমন্ত্রী।'
আরও পড়ুন: ক্ষোভ তো থাকতেই পারে, আলোচনায় মিটবে, পিকে-পার্থর সঙ্গে বৈঠকের পর রাজীব
উল্লেখ্য, শুক্রবার প্যানেল-সহ উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ফের নতুন করে শুরু করতে হবে এই প্রক্রিয়া। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে মেরিট লিস্ট প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, করোনা আবহে প্রয়োজনে ভার্চুয়ালি প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে কমিশন। যদিও মামলাকারীদের আবেদন, ভার্চুয়ালি নয় বরং স্বশরীরে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চান তাঁরা।