'দিদিকে বলো'র পর আসছে 'বিজেপিকে বলো', পুরপরিষেবা নিয়ে অভিযোগ টোল ফ্রি নম্বরে
টোল ফ্রি নম্বরের উদ্দেশ্য কী?
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটে ধাক্কার পর 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করে অভাব-অভিযোগ জানিয়েছেন বহু মানুষ। সুরাহাও হয়েছে অনেকের। পুরসভা ভোটের আগেও তেমনই একটি টোল ফ্রি নম্বর চালু করতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। শীঘ্রই ওই নম্বরের ঘোষণা করা হবে।
টোল ফ্রি নম্বরের উদ্দেশ্য কী? এদিন পুরভোটের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে বসেছিল বিজেপি। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, শীঘ্রই আনা হবে টোল ফ্রি নম্বর। বিভিন্ন পুরসভার কাজকর্ম,দুর্নীতি, পরিষেবার অভাব ইত্যাদি ওই নম্বরে জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। পুরভোটের প্রস্তুতিতে সাধারণের অভাব-অভিযোগ কাজে লাগবে। এতে ভালো সাড়া মিলবে বলে আশা বিজেপি নেতৃত্বের। রাজ্যের প্রতিটি পুরসভার জন্য আলাদা আলাদা ইস্তাহার প্রকাশের পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য বিজেপির। রাজ্যস্তরে একটি ইস্তাহারও প্রকাশ করা হবে।
আসন্ন পুরভোটের জন্য ৫৭ জনের কমিটি গঠন করেছে বিজেপি। ওই কমিটির নেতৃত্ব থাকছে মুকুল রায়ের হাতে। তাঁকেই করা হয়েছে আহ্বায়ক। মুকুলের ডেপুটি হয়েছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং। দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহাকে কমিটিতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে নাম রয়েছে রাহুলঘনিষ্ঠ রীতেশ তিওয়ারির। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে দেখা যাচ্ছিল না। শ্রীরামপুরের পুরভোটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রীতেশকে। কমিটিতে রয়েছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী ও বাবুল সুপ্রিয়। এর পাশাপাশি আছেন রাজ্যের ১৮ জন সাংসদ। তৃণমূল থেকে আসা বিধায়করাও রয়েছেন কমিটিতে।
বিজেপি সূত্রের খবর,পঞ্চায়েত ভোটে পুনরাবৃত্তি পুরভোটে হলে ফায়দা বেশি। পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। হিংসা ছড়িয়েছিল গোটা রাজ্যে। তার ফল মিলেছিল ২০১৯ সালে। পুরভোটেও তেমনই হবে। আবারও মানুষ বিরূপ হবেন। তার লাভ পাওয়া যাবে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে।
আরও পড়ুন- দিল্লির ভুল বাংলায় নয়, একুশের আগেই নাগরিকত্বের প্রচারে ১ মার্চ শহরে অমিত