পুরভোটে শক্ত লড়াই বিজেপির সঙ্গে, মানছেন মমতা

প্রতিপক্ষ বিজেপি। লড়াই কঠিন। পুরভোটের প্রচারে তাই খামতি রাখতে চাইছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারদা কেলেঙ্কারি ও বর্ধমান কাণ্ড নিয়ে বিজেপির আক্রমণ ভোঁতা করতে পাল্টা স্ট্র্যাটেজি স্থির করেছেন তিনি। রবিবার তৃণমূল ভবনের বৈঠকে তাই বুঝিয়ে দেওয়া হবে দলের কাউন্সিলর প্রচারকদের।  

Updated By: Oct 25, 2014, 07:47 PM IST
পুরভোটে শক্ত লড়াই বিজেপির সঙ্গে, মানছেন মমতা

কলকাতা: প্রতিপক্ষ বিজেপি। লড়াই কঠিন। পুরভোটের প্রচারে তাই খামতি রাখতে চাইছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারদা কেলেঙ্কারি ও বর্ধমান কাণ্ড নিয়ে বিজেপির আক্রমণ ভোঁতা করতে পাল্টা স্ট্র্যাটেজি স্থির করেছেন তিনি। রবিবার তৃণমূল ভবনের বৈঠকে তাই বুঝিয়ে দেওয়া হবে দলের কাউন্সিলর প্রচারকদের।  

২০০৮  পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রথম সাফল্য মিলেছিল। তবে তৃণমূলের পালে পরিবর্তনের জোরালো বাতাস লাগে দুহাজার দশের কলকাতা পুরসভা নির্বাচনেই। অনেকটা বিজেপির মহারাষ্ট্র মডেলের মতোই সেবার একা লড়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তৃণমূল। তারপরের চারবছরে শুধুই জয়ের ইতিহাস। কিন্তু, পরিবর্তনের সাড়ে তিনবছর পর পরিস্থিতি বদলেছে। লোকসভা ভোটে মোদী হাওয়ায় ভর করে রাজ্যে নাটকীয় উত্থান হয়েছে বিজেপির।

লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির ভোট ছয় শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে প্রায় আঠারো শতাংশ
লোকসভা ভোটে কলকাতা পুর এলাকায় প্রায় কুড়ি শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি
লোকসভা ভোটে কলকাতা পুরসভার চব্বিশটি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি, তেত্রিশ ওয়ার্ডে লড়াই ছিল হাড্ডাহাড্ডি
কলকাতা থেকে নির্বাচিত নজন মন্ত্রীর বিধানসভা ক্ষেত্রে লক্ষ্যনীয়ভাবে ভোট কমেছে তৃণমূলের

উপনির্বাচনে চৌরঙ্গী বিধানসভা কেন্দ্রে ফের নিজের একাধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে তৃণমূল। কিন্তু, কলকাতায় ভোটারদের মনস্তত্ত্ব চিন্তায় রেখেছে মুখ্যমন্ত্রীকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক অতীতে সারদা কেলেঙ্কারি-বর্ধমান বিস্ফোরণের মতো ঘটনায় তৃণমূলের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে পারে শহুরে ভোটারদের। এই কঠিন পরিস্থিতিতে তাই পাল্টা লড়াইয়ের স্ট্র্যাটেজি ঠিক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দলের কর্মীদের তাঁর দাওয়াই,

বিরোধীদের নেতিবাচক প্রচারকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে ইতিবাচক প্রচার করতে হবে দলীয় কর্মীদের
কন্যাশ্রী, ন্যায্যমূল্যের ওষুধ দোকান সহ সরকারের একাধিক উন্নয়নমূলক কাজকর্মকে প্রচারে তুলে ধরতে হবে
বর্ধমান কাণ্ড বা সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে বিরোধীরা সরব হলে পাল্টা জবাব দিতে হবে

এই স্ট্র্যাটেজিই রবিবার দলের ভোট ম্যানেজারদের বুঝিয়ে দেবেন তৃণমূল নেতারা। প্রচারের যুদ্ধ চালানোর মূল দায়িত্ব বর্তাচ্ছে যুবশক্তির ওপর। ইতিমধ্যেই তৃণমূল যুব সভাপতির পদে অভিষেক হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পুরভোটে প্রচারের মূল দায়িত্ব তাঁকেই দেওয়া হচ্ছে। বৈঠকে অভিষেক ছাড়াও থাকবেন মুকুল রায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি। আমন্ত্রিত শুভেন্দু অধিকারী ও সুগত বসু। শুভেন্দু অধিকারীর সাংগঠনিক অভিজ্ঞতাকে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় পুরভোটে কাজে লাগাতে চাইছেন বলেও খবর তৃণমূলের অন্দরে।

 

.