বউবাজারে বিপর্যয়! প্রশ্ন চিহ্নের মুখে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের ২০ কোটি টাকার পুজো
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজের বিপত্তিতে ভিটে মাটি ছাড়া হয়েছেন শয়ে শয়ে মানুষক। আর এমন পরিস্থিতিতে ধুমধাম করে ২০ কোটি বাজেটে পুজো কি আদৌ শোভা পায়? চিন্তার ভাঁজ পুজোর উদ্যোক্তাদের কপালে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আগে ভাগেই চাউর হয়েছিল মধ্য কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের চমক সোনার দুর্গার কথা। এ বছর পুজোর বাজেট ২০ কোটি। শুনেই চোখ কপালে উঠেছিল অনেকেরই। মহাসমারোহে হবে এই বছরের দুর্গাপুজো, আশায় বুক বেঁধেছিল মধ্য কলকাতার ঐতিহ্যবাহী এই পুজো কমিটি। তবে সব কিছুকেই এখন প্রশ্ন চিহ্নর মুখে করেছে ভয়াবহ বিপর্যয়। বউবাজারের আতঙ্কের গ্রাসে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোও। শেষ মূহূর্তে এসে আকস্মিক এই ঘটনায় উভয় সঙ্কটে পড়েছেন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা।
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার থেকে কয়েক পা এগোলেই বউবাজার চত্বর। বর্তমানে যা কার্যত এক সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ হয়ে পড়ে রয়েছে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজের বিপত্তিতে ভিটে মাটি ছাড়া হয়েছেন শয়ে শয়ে মানুষক। আর এমন পরিস্থিতিতে ধুমধাম করে ২০ কোটি বাজেটে পুজো কি আদৌ শোভা পায়? চিন্তায় পড়েছেন পুজোর উদ্যোক্তারা।
পুজোর বাকি আর মাত্র কটা দিন। ইতিমধ্যেই প্যান্ডেলের কাজ শেষের পথে। তৈরি সোনার দুর্গার মূর্তিও। পুজো কমিটির সম্পাদক সজল ঘোষ জানান, " আমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ়। কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না। পুজো বন্ধ করার রাস্তা নেই, আবার পুজো করার মতো মানসিক অবস্থা, পরিবেশ কোনটাই নেই। পাড়ার এই বিপর্যয়ে কী করব জানা নেই কারও।" এদিন হতাশার সুরই শোনা গেল তাঁর গালায়। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, "পুজোর ভাইস প্রেসিডেন্ট তাপস রায়, তিনিও আজ ঘর ছাড়া। সব মিলিয়ে কার্যত মাথায় বাজ পড়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের। "
কিছুদিন আগেই একটি সাংবাদিক বৈঠক করে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের উদ্যোক্তারা। জানানো হয় প্রতিমা গড়তে খরচ পড়বে ১৭ কোটি টাকা। প্রতিমাশিল্পী মিন্টু পাল। কেন এত টাকা খরচ? উদ্যোক্তাদের দাবি, এবার সোনা দিয়ে তৈরি হবে তাঁদের প্রতিমা। সোনার পাত দিয়ে প্রতিমা গড়তে লেগেছে ৫০-৬০ কিলো সোনা। সে কারণে খরচ পড়ছে ১৭ কোটি টাকা। এতদিন মায়ের মাথার মুকুট, হাতে বালা ইত্যাদি সোনার তৈরি হতো।
আরও পড়ুন: অবশেষে বাগে এল বউবাজারের ধস, আশাবাদী মেট্রো তবু আশঙ্কা কাটছে না বাসিন্দাদের
শুধু প্রতিমাই নয়, থিমেও চমক দিতে চলেছেন বলে জানিয়েছিলেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্যোক্তাদের। সোনার দুর্গার নিরাপত্তায় নিরাপত্তায় বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ প্রদীপ ঘোষ। তবে এখন এসবই প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। কী করবেন তা নিয়ে কার্যত সংশয়ে পুজো কমিটির সদস্যরা।