`বাস আতঙ্কে` জর্জরিত শহরবাসী
যত দিন যাচ্ছে ততই যেন কলকাতা শহরে বাসে চড়া রীতিমতো আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। রাস্তা থেকে অর্ধেক বাস উধাও। নির্দিষ্ট রুটের বাস পেতে কখনও কখনও অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর্যন্ত। তারপরও যে বাস আসছে তা বাদুরঝোলা।
যত দিন যাচ্ছে ততই যেন কলকাতা শহরে বাসে চড়া রীতিমতো আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। রাস্তা থেকে অর্ধেক বাস উধাও। নির্দিষ্ট রুটের বাস পেতে কখনও কখনও অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর্যন্ত। তারপরও যে বাস আসছে তা বাদুরঝোলা। ওঠার উপায় নেই। বাস মালিকদের স্পষ্ট বক্তব্য ভাড়া না বাড়ালে সব বাস রাস্তায় নামানো অসম্ভব। অন্যদিকে প্রতিদিনকার ভুক্তভোগী যাত্রীদের দাবি বাসভাড়া কিছুটা বাড়িয়ে এই দুর্বিসহ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিক সরকার।
গত দেড়বছরে ডিজেলের দাম বেড়েছে ১১ বার। কিন্তু বাড়েনি বাসভাড়া। বাস মালিকরা লাগাতার ধর্মঘট করেছেন। সরকারের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকও করেছেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। কারণ সরকার অনড় কিছুতেই বাসভাড়া বাড়াবে না তারা। তাই বাসভাড়া না বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কারণে প্রতিদিন চরম হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে হাজার হাজার নিত্যযাত্রীকে। বাসভাড়া নিয়ে কী অভিমত যাত্রীদের। কলকাতা এবং শহরতলি থেকে অর্ধেক বাস উধাও। আর সন্ধে নামার পর তো কথাই নেই।
এটাই গত একমাসে পথের বিভীষিকার রোজনামচা। সরকারি হিসেবে সতের হাজারের মতো বাস চলে শুধু কলকাতা শহরে। বর্তমানে সিন্ডিকেটের হিসেব বলছে কোনওদিনই আট হাজারের বেশি বাস রাস্তায় নামছে না। কোনও বাসই ৪ ট্রিপ করতে রাজি হচ্ছে না। ফলে সন্ধেয় পর এই সংখ্যা এসে দাঁড়াচ্ছে ৩ হাজারে। কেন? বাস সিন্ডিকেটের দাবি এই ভাড়ায় বাস চালানো অসম্ভব।