Calcutta High Court: সংঘাত পৌঁছল আদালতে, রাজ্যপালের অফিসকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের...
'যদি সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয় তাহলেও কি আদালত রাজ্যপালকে কোন একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার অনুরোধ জানাতে পারেন না'? প্রশ্ন আদালতের। উপাচার্য নিয়োগ বিল মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ অক্টোবর।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: সংঘাত এবার পৌঁছে গেল আদালতে। উপাচার্য নিয়োগ বিল সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যপালের অফিসের কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট। কবে? ৪ অক্টোবরের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। ১৪ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন: EXCLUSIVE: নারদা তদন্তে গতি, ম্যাথু স্যামুয়েলকে তলব সিবিআইয়ের
এক বছরের বেশি সময় পার। ২০২২ সালে জুন মাস উপাচার্য নিয়োগ বিল পাস হয় বিধানসভায়। এরপর রীতিমাফিক সেই বিল রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া ওই বছরের ২৫ জুন। কিন্তু বিলে স্বাক্ষর করা তো দুরঅস্ত, রাজ্যপাল কোনও পদক্ষেপই করেননি বলে অভিযোগ। কেন? হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন সায়ন মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। এদিন মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে।
আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, 'রাজ্যপাল তিনটি কাজ করতে পারেন। প্রথমত, তিনি বিলে সম্মতি জানিয়ে সই করতে পারেন। দ্বিতীয়ত , তিনি পরামর্শ দিয়ে বা না দিয়ে পুনরায় বিবেচনার জন্য বিধানসভায় ফেরত পাঠাতে পারেন। এবং তৃতীয়ত, তিনি বিল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে রাজ্যপাল কোনটিই করেননি'।
কেন্দ্রের আইনজীবীর কাছে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় জানতে চান, 'যদি সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয় তাহলেও কি আদালত রাজ্যপালকে কোন একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার অনুরোধ জানাতে পারেন না? ডানদিকে হোক, বামদিকে হোক বা কেন্দ্রে হোক, যেখানেই হোক, কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার অনুরোধ রাজ্যপালকে আদালত জানাতে পারেন না' ? বিচারপতির প্রশ্ন, 'এই ধরনের সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের কৈফিয়ত তলব করা যায় না,সময় বেঁধে দেওয়া যায় না, কিন্তু যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুরোধও কি আদালত করতে পারে না'?
আরও পড়ুন: West Bengal Government: বিদেশ যেতে যেতেই প্রশাসনে বিরাট রদবদল মমতার, বদলে গেল বহু জেলাশাসক!
জবাবে কেন্দ্রের আইনজীবী বলেন, 'সংবিধান, রাজ্যপাল সহ একাধিক সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। তাঁরা জবাবদিহি করতে বাধ্য নন'। তাঁর পাল্টা সওয়াল, মামলাকারীর রাজনৈতিক পরিচয় খতিয়ে দেখা হোক। তিনি একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক। এই পরিচয় গোপন করে মামলা করেছেন। এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়'।