SSC: 'প্যানেলে নাম নেই, তাও কীভাবে চাকরি পেলেন'?, হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে চাকরিরতরা
হলফনামা পেশের নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'প্যানেলে নাম নেই, তাও কীভাবে চাকরি পেলেন'? SSC নিয়োগে মামলায় এবার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে খোদ চাকরিরতরাই (SSC Recruited Teachers)। বৃহস্পতিবারের মধ্যে হলফনামা পেশের নির্দেশ নিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।
SLST মাধ্যমে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সুপারিশ কমিটির বিরুদ্ধে CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। কেন? অভিযোগ, প্যানেলে অনেক পিছনে নাম থাকা সত্ত্বেও শেখ ইনসান আলি নামে এক দু'বার রেকমেন্ডশন লেটার পাঠানো হয়েছে। তাও আবার SMS-র মাধ্যমে! এমনকী, সেই সুপারিশ অনুযায়ী চাকরিও করছিলেন তিনি। শেখ ইনসান আলি চাকরিও ইতিমধ্যেই বাতিল হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Video: 'এতদিন যা প্র্যাকটিস করেছেন, তা ভুলে যান', মেজাজ হারালেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া
এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছে রাজ্য। এদিন সেই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে। নবম ও দশম শ্রেণিতে বাংলার শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছেন জুঁই দাস ও আজাদ আলি মির্জা নামে দু'জন। তাঁদের কাছে বিচারপতি জানতে চান, 'প্যানেলে কি আপনাদের নাম ছিল'? জবাবে দু'জনেই বলেন, 'প্যানেলে আমাদের নাম ছিল না'। তাহলে কীভাবে চাকরি পেলেন? বৃহস্পতিবারের মধ্যে হলফনামা দিয়ে তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
স্রেফ বাংলার শিক্ষকই নয়, SLST মাধ্যমে নবম ও দশম শ্রেণিতে ইতিহাসের শিক্ষক নিয়োগও বেনিয়মে অভিযোগ উঠেছে। সেই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ, 'স্কুল সার্ভিস কমিশন যেভাবে নিয়োগ করেছে তা ফৌজদারি তদন্ত যোগ্য'। কে তদন্ত করবে? সিবিআই না অন্যকোনও নিরপেক্ষ সংস্থা? প্রশ্ন উঠেছে আদালতে। ২০১৯ সালে নবম ও দশম শ্রেণিতে ইতিহাস শিক্ষক পদে নিয়োগ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা SSC। ৫ সদস্যের কমিটির সুপারিশে চাকরি পান সফল পরীক্ষার্থীরা।