Acid Attack: অ্যাসিড আক্রান্ত নাবালিকাকে সাড়ে ৭ লাখ দেওয়ার নির্দেশ, বাংলার শেকড়ের কথা মনে করালেন বিচারপতি
Acid Attack:ওই রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি শেখর রবি শরাফ বলেন, উন্নয়ন এবং সুশাসনের পাশাপশি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দেওয়ার ক্ষেত্রেও রাজ্য পিছিয়ে পড়ছে
অর্নবাংশু নিয়োগী: অ্যাসিড আক্রান্ত নাবালিকাকে তার প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ ৪ সপ্তাহের মধ্যে দিতে নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর রবি শরাফের। পাশাপাশি রায়দানের সময়ে তিনি বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত ও সরোজিনী নাইডুর মতো নারীদের সময়কার বাংলার কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন-এবার ভারতের হাতে C 295 বিমান, স্পেনে হাজির বায়ুসেনা প্রধান; কী আছে এই এয়ারলিফটারে?
২০১৫ সালের মে মাসে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে এক নাবালিকা ও তার ভাইয়ের ওপর অ্যাসিড হামলার ঘটনা ঘটে। পর্যাপ্ত আর্থিক সাহায্য না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় দিদি দুই ভাই-বোন। মামলা চলাকালীন আক্রান্ত ভাই আর্থিক সাহায্য পেলেও, নাবালিকা দিদি এখন পর্যাপ্ত সাহায্য পায়নি। এখনো পর্যন্ত মাত্র ৩ লাখ টাকা পেয়েছেন নাবালিকা।
মামলাকারির দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এবং NALSA বা National Legal Services Authority র প্রকল্প অনুযায়ী অ্যাসিড হামলার ক্ষেত্রে সাত থেকে আট লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য পেতে পারেন আক্রান্তরা। এবং আক্রান্ত যদি নাবালিকা হয় তা হলে আরো ৫০ শতাংশ বেশি টাকা পাবে।
বুধবার বিচারপতি শেখর রবি শরাফ আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্ত নাবালিকাকে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেন। রাজ্য চার সপ্তাহের মধ্যে এই টাকা রাজ্য আইনি সহায়তা কেন্দ্রের কাছে জমা করবে এবং তারপর এই টাকা পাবেন আক্রান্ত। পাশাপাশি ৮ সপ্তাহের মধ্যে এব্যাপারে রাজ্যকে গাইডলাইন তৈরি করতে হবে।
ওই রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি শেখর রবি শরাফ বলেন, বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী শ্রী গোপাল কৃষ্ণ গোখেল একসময় বলেছিলেন, 'বাংলা আজকে যা ভাবে, ভারতবর্ষ তা আগামিকাল ভাবে। ১৯ শতকের গোড়ার দিকে এই বক্তব্য খুবই প্রাসঙ্গিক ছিল। কিন্তু আজকের বাংলার এই বক্তব্যের বিপরীত দিকে অবস্থান করছে। উন্নয়ন এবং সুশাসনের পাশাপশি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দেওয়ার ক্ষেত্রেও রাজ্য পিছিয়ে পড়ছে।
যে রাজ্য একসময় বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেন, সরোজিনী নাইডুর মত মহিলাদের প্রগতিশীল নারীবাদী বক্তৃতার জন্য সুপরিচিত ছিল , সেই রাজ্য আজকে তার নারীবাদী শিকড় ভুলে গিয়েছে। রাজ্যের উচিত তার সমৃদ্ধ নারীবাদী ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে শ্রী গোপালকৃষ্ণ গোখেলর বক্তব্য যেন আজও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে তা সুনিশ্চিত করা।