সিবিআই, ইডির তদন্তে ক্রমেই ধরা পড়ছে সারদাকাণ্ডে সিটের ফাঁকফোঁকড়

Updated By: Aug 27, 2014, 11:52 PM IST
সিবিআই, ইডির তদন্তে ক্রমেই ধরা পড়ছে সারদাকাণ্ডে সিটের ফাঁকফোঁকড়

তল্লাসি, গ্রেফতার, নথি বাজেয়াপ্ত করা থেকে শুরু করে তদন্তের ব্যপ্তি। সারদা কেলেঙ্কারিতে সিটের থেকে অনেকটাই আলাদা দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত। গত কয়েকমাসে বারবার ধরা পড়েছে সেই তফাত। বেড়েছে তদন্তের গতিও।

সারদা কেলেঙ্কারি সামনে আসার পর ছয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে একাধিক মামলা সাজিয়েছিল রাজ্য পুলিসের সিট। কিন্তু, একবছর তদন্তের পরেও, প্রতারণার টাকা কোথায় গেল তার কোনও হদিশ দিতে পারেনি তারা। তদন্তের তফাত্ প্রথম ধরা পড়ে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কাজ শুরুর পর।  

সারদার হারানো সম্পত্তির হদিশ পেতে সুদীপ্ত সেনের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী পিয়ালি ও প্রথম পক্ষের ছেলে শুভজিতকে জেরা করে ইডি। সিট নাকি এই দুজনের খোঁজই পায়নি।
-----
চ্যানেল টেন ও গ্লোবাল অটোমোবাইল মোটরবাইক কারখানা কেনাবেচা নিয়ে জেনাইটিস কর্তা শান্তনু ঘোষকে গ্রেফতার করে ইডি। সিট শান্তনু ঘোষকে জেরাও করেনি। এখন সিবিআইএর নজরে শান্তনু।
-----
বাঁকুড়ায় ল্যান্ডমার্ক সিমেন্ট কারখানা কিনেছিলেন সুদীপ্ত সেন। লেনদেন নিয়ে ওই কারখানার প্রাক্তন মালিক ও বর্তমান বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপদ মুখার্জিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। বস্ত্রমন্ত্রী প্রসঙ্গে নীরব ছিল সিট।  
-----
কলম পত্রিকায় সারদা গোষ্ঠীর লগ্নি  নিয়ে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করে সাংসদ সাংবাদিক আহমেদ হাসান ইমরানকে।
------
পরমা পত্রিকার আর্থিক খতিয়ান নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক অপর্ণা সেনকে।
-----
মিডিয়ায় সারদার লগ্নি নিয়ে শাসকদলের ঘনিষ্ঠ এক চিত্রশিল্পীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিটের তদন্তে এঁদের ডাকা হয়নি।  
-----
দুহাজার তেরোর মে মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সারদা সংক্রান্ত বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তদন্তে নামে সিবিআই। শুধু দোষীদের খুঁজে বের করা নয়, উধাও টাকার হদিশ ছিলেন লক্ষ্য।

সারদা কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার আগেই, দুহাজার তেরোর ছয়ই এপ্রিল CBI-কে চিঠি লিখেছিলেন সুদীপ্ত সেন। তাতে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম ছিল। তদন্তে নামার পর ওই চিঠিই হয়ে ওঠে CBI-এর বাড়তি হাতিয়ার। তদন্তে নেমেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে, সারদা সম্পর্কিত একাধিক ব্যক্তির বাড়ি ও অফিসে একসঙ্গে তল্লাসি চালায় সিবিআই। এর আগে এই উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
------
বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তদন্তে ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেই সূত্রে গ্রেফতার হন চা ব্যবসায়ী সন্ধির আগরওয়াল। সামনে আসে পাওয়ার ব্রোকিংয়ের তথ্য।
--------
সারদা গোষ্ঠীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে রাজ্যের প্রাক্তন পুলিসকর্তা রজত মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। রজত মজুমদারকে নিয়ে সম্পূর্ণ নীরব ছিল সিট।
--------
সিটের তদন্তের পরেও সারদার বিভিন্ন দফতর ও বিভিন্ন ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাসি চালিয়ে ছত্রিশটি হার্ডডিস্ক ও প্রচুর নথি উদ্ধার করেছে সিবিআই। প্রতিটি হার্ডডিস্কই ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। সিটের তরফে সেই উদ্যোগ চোখে পড়েনি।  
যদিও, তদন্ত শুরুর সাড়ে তিনমাস পরেও, এখও সারদার বহু বাজেয়াপ্ত নথি হাতে পায়নি সিবিআই। সিটের হেফাজত থেকে সুদীপ্ত সেনের ডায়রি, পেনড্রাইভ ও ক্যাশপুক এখনও সিবিআইয়ের হাতে আসনি বলে খবর।

 

.