Madan Tamang খুনে বিমল-রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে CBI, ৪ বছর পর তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন
২০১০ সালে ২১ মে দার্জিলিঙে ক্লাব সাইট রোডে খুন হন মদন তামাং (Madan Tamang)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বছর চারেক আগে মদন তামাং খুনের মামলায় বিমল গুরুংকে (Bimal Gurung) রেহাই করেছিল নিম্ন আদালত। ওই রায় চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করল সিবিআই (CBI)। এর পাশাপাশি হাইকোর্টে একই আবেদন করেছেন মৃত অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগ নেতা মদনের স্ত্রী ভারতী তামাং-ও। শুক্রবার দু'টি মামলার শুনানি শুরু হয় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে। তবে ব্যক্তিগত কারণে মামলা দু'টি শুনতে চাননি বিচারপতি। তা ফিরিয়ে দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছে।
২০১০ সালে ২১ মে দার্জিলিঙে ক্লাব সাইট রোডে খুন হন মদন তামাং (Madan Tamang)। ওই ঘটনায় বিমল গুরুং-সহ (Bimal Gurung) ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। বিমলের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল, খুনের আগে চন্দ্রমান ধুরা এলাকায় ঘনিষ্ঠদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। সেখানে মদনকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। ওই ঘটনায় ২২ জনকে পলাতক দেখিয়ে চার্জশিট পেশ করে সিআইডি (CDI)। পরে তদন্তের দায়িত্ব যায় সিবিআই-র হাতে।
সিবিআই তদন্তে অন্যতম অভিযুক্ত হন বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর কলকাতায় নগর দায়রা আদালত ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় গুরুংকে। সিবিআই-র তরফে আইনজীবী অনির্বাণ মিত্র বলেন,'তামাং খুনে বিমল গুরুং জড়িত থাকার পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। তাই নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।' যদিও নিম্ন আদালতের রায়ের চার বছর পরে সিবিআই-র তৎপরতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্ক রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। উল্লেখ্য,গতবছর পঞ্চমীর দিন কলকাতায় আচমকা হাজির হন মোর্চা নেতা। ঘোষণা করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কাজ করবেন। তার আগে লোকসভা ভোটে বিজেপিকে সমর্থন দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- Covid Vaccine কম পাচ্ছেন মেয়েরা, মুখ্যসচিবকে চিঠি উদ্বিগ্ন মহিলা কমিশনের