চিকিত্সার কোনও ব্যবস্থা না থাকায় চম্পামণি মাতৃ সদন এখন কার্যত ভূতের বাড়ি
চম্পামণি মাতৃ সদন। ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডের ওপর কলকাতা পুরসভার এই প্রসূতি সদনে প্রায় সবই আছে। শুধু যাঁদের জন্য এই ব্যবস্থা, সেই রোগীরাই নেই। কারণ, অভিযোগ, হাসপাতালে গেলে নাকি ডাক্তারের দেখা পাওয়া যায় না। ফলে প্রায় তিন বিঘা জমির ওপর তৈরি হওয়া এই বিশাল ভবন কার্যত এখন ভূতের বাড়ি।
ওয়েব ডেস্ক: চম্পামণি মাতৃ সদন। ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডের ওপর কলকাতা পুরসভার এই প্রসূতি সদনে প্রায় সবই আছে। শুধু যাঁদের জন্য এই ব্যবস্থা, সেই রোগীরাই নেই। কারণ, অভিযোগ, হাসপাতালে গেলে নাকি ডাক্তারের দেখা পাওয়া যায় না। ফলে প্রায় তিন বিঘা জমির ওপর তৈরি হওয়া এই বিশাল ভবন কার্যত এখন ভূতের বাড়ি।
স্থানীয় চিকিত্সকদের দাবি, নামে প্রসূতি সদন হলেও চিকিতসার কোনও ব্যবস্থাই নেই এখানে। তবে হাসপাতালের পরিকাঠামো ঢেলে সাজালে এলাকারই উন্নতি হবে। এলাকায় এত বড় হাসপাতাল থাকলেও বাসিন্দাদের কোনই সুবিধা হয় না। সাধারণ কোনও অসুখ হলেও তাঁদেরকে ছুটে যেতে হয় NRS, বেলেঘাটা আইডি, কিম্বা শহরের অন্য কোনও হাসপাতালে। কেন এমনটা হয়?
ট্যাংরার এই মাতৃ সদনকে কলকাতার NRS হাসপাতালের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দীর্ঘ দিনের। অথচ এখনও তা সম্ভব হয়নি। তেমনটা হলে শুধু যে এই হাসপাতালের হাল ফিরত তা নয়, আধুনিকতার ছোঁয়ায় উন্নততর পরিষেবাও পাওয়া যেত বলে মনে করেন বাসিন্দারা। স্থানীয়দের সঙ্গে একমত এলাকার বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহাও। এ ব্যাপারে শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী শশী পাঁজা। স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অবশ্য অন্য কথা বলছেন। তাঁর দাবি, ন্যাশনাল হেল্থ আর্বন রিনিউয়াল মিশনের টাকা এলেই চম্পামণি মাতৃ সদন নিয়ে উদ্যোগী হবে পুরসভা।