বহিরাগতদের মেনে নেবেন না মানুষ, BJP-র কেন্দ্রীয় নেতাদের নিশানা চন্দ্রিমার
ভোটের আগে বাংলাকে পাঁচটি জোনে ভাগ করেছে বিজেপি। ওই পাঁচটি জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৫ সর্বভারতীয় নেতাকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'বহিরাগত' তকমা সেঁটে বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার কৌশল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার সুখেন্দুশেখর রায়ের পর বৃহস্পতিবার চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপিকে 'বহিরাগত' খোঁচায় বিঁধলেন। চন্দ্রিমা বলেন,''বহিরাগতদের এনে লাল চোখ দেখিয়ে বাংলায় ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছে।''
ভোটের আগে বাংলাকে পাঁচটি জোনে ভাগ করেছে বিজেপি। ওই পাঁচটি জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৫ সর্বভারতীয় নেতাকে। রাজ্যের নেতা নেই, বাইরে থেকে নেতা আনতে হচ্ছে বিজেপিকে, এই অভিযোগ করছে তৃণমূল। গতকাল, বুধবার সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, ''বাংলায় বহিরাগতরা অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তা রুখতে হবে।'' এ দিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও 'বহিরাগত' তত্ত্বে সুর চড়ান। তাঁর কথায়,''বহিরাগতরা আসছেন। যে কোনও প্রদেশের হোক না কেন, বাংলার মানুষকে সকলকে স্বাগত জানায়। কিন্তু যদি বহিরাগতরা অদ্ভূত স্বপ্নকে লালচক্ষু দেখিয়ে বাস্তবে করার কথা ভেবে থাকেন, তা মেনে নেবে না।''
বিজেপির 'পঞ্চপাণ্ডব'কে নিশানা করে তিনি বলেন,''বিভিন্ন প্রদেশ থেকে লোক পাঠানো হচ্ছে। বাংলার সংস্কৃতি-ঐতিহ্য সম্পর্কে জ্ঞান নেই। অলিগলি চেনেন না, ২৩টি জেলা চেনেন না। ১০ কোটি মানুষের জন্য কখনও কিছু ভাবেন না। উন্নয়নের তীর্থস্থানে তীর্থযাত্রী হয়ে ভ্রমণ করতে চাইলে অসুবিধা নেই। এখান থেকে শিখে নিজেদের রাজ্যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলি চালাতে চান, তাতেও আপত্তি নেই। কিন্তু দিবাস্বপ্ন দেখার লোভ প্রশমিত করুন।''
সুখেন্দুশেখরের কটাক্ষের জবাব বুধবার রাতে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, রোহিঙ্গারা এলে অনুপ্রবেশকারী নয়। আর দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলায় এলে বহিরাগত!
আরও পড়ুন- 'মুখ্যমন্ত্রী আমায় তাড়াননি, আমিও কোথাও যাইনি', কৌশলী বার্তা শুভেন্দুর