শুধু কলকাতা থেকেই ৮০% কেস, রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৩৪, উদ্বিগ্ন সরকার
"করোনার ক্ষেত্রে গোটা দেশে ১২ নম্বরে আছে পশ্চিমবঙ্গ। তা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে 8টে জায়গায় টিম পাঠানো হল? অথচ মহারাষ্ট্রে মাত্র ২টো জায়গায় টিম পাঠানো হয়েছে।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে আরও ৫৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩৩৪। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৪ জন। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানিয়েছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।
সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব বলেন, কলকাতা নিয়ে রাজ্য সরকার উদ্বিগ্ন। ৮০ শতাংশ করোনা কেস-ই কলকাতায়। জনসংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে কলকাতায় ঘিঞ্জি এলাকার সংখ্যা বেশি। তারউপর কলকাতায় লোকের আনাগোনা বেশি। সব মিলিয়ে কলকাতায় সোস্যাল ডিস্ট্যানসিং বজায় রাখা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই সবের কারণে কলকাতায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। শুধু বস্তিতে নয়, কলকাতায় অন্য এলাকাতেও করোনা পজেটিভ পাওয়া গিয়েছে।
একইসঙ্গে রাজ্যে কেন্দ্রীয় দলের আগমন নিয়েও এদিন ফের সরব হন মুখ্যসচিব। তিনি বলেন, "করোনার ক্ষেত্রে গোটা দেশে ১২ নম্বরে আছে পশ্চিমবঙ্গ। তা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে 8টে জায়গায় টিম পাঠানো হল? অথচ মহারাষ্ট্রে মাত্র ২টো জায়গায় টিম পাঠানো হয়েছে। তাহলে ১২ নম্বর স্থানে থাকা রাজ্যে এতগুলো জায়গায় কেন টিম পাঠানো হল?"
মুখ্যসচিব জানান, এখনও পর্যন্ত মোট ১০৩ জন ছাড়া পেয়েছেন। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি থেকে নতুন সংক্রমণের খবর মিলেছে। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত টেস্ট হয়েছে ৯৫৩ জনের। ১২টি ল্যবে টেস্ট হচ্ছে। এখন ১৫,৭৮৪ হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। ১১,০৮৯ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ৪,৬৯৫ জন এখনও সরকারি কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
কলকাতা পুরসভা এলাকায় ৫টা কনটেইনমেন্ট জোন থেকে গত ১৪ দিন কোনও কেস আসেনি বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। পাশাপাশি জানান, হাওড়ার কনটেইনমেন্ট জোন বেশি, ৬০ থেকে ৭০টি। পূর্ব মেদিনীপুরে ৫টি কনটেইনমেন্ট জোন। আর উত্তর ২৪ পরগনার ৪০টা এলাকা কনটেইনমেন্ট জোন। করোনা আক্রান্তের ৮০ শতাংশ শুধু কলকাতা জেলা থেকেই।
এদিন মুখ্যসচিব আরও জানান, "সন্ধান" অ্যাপে এবার থেকে সাধারণ মানুষ নিজেই নিজেদের বিষয়টা জানাতে পারবেন। এতদিন এই অ্যাপের মাধ্যমে আশা কর্মীরা তথ্য জানাতে পারতেন। পশ্চিমবঙ্গের ৯টি জেলায় 'জিরো' করোনা কেস বলে জানিয়েছেন রাজীব সিনহা। ১১টা জেলা 'গ্রিন জোন' বলে উল্লেখ করেন তিনি। আর 'রেড জোন' ৪টি জেলা- কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনা।
আরও পড়ুন, 'আমি নির্বাচিত, আপনি মনোনীত', রাজ্যপালকে ৫ পাতার কড়া চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর